ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় সাক্ষ্য হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।

মঙ্গলবার মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন।

এখন পর্যন্ত মামলাটিতে ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলাটিতে জাবালে নূরের চালক মাসুম বিল্লাহ, হেল্পার মো. এনায়েত হোসেন ও চালক মো. জোবায়ের সুমন কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি বাসমালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও হেল্পার মো. আসাদ কাজী পলাতক রয়েছেন।

আসামি জাবালে নূরের মালিক মো. শাহদাত হোসেন আকন্দের মামলার অংশের কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশের উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটটি বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৭৯, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৪ ও ৩৪ ধারায় দাখিল করা হয়েছে। ৩০৪ ধারা অনুযায়ী, খুন বলে গণ্য নয় এরূপ নরহত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

গত ২২ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে কালশি ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫/২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিলেন। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি দ্রুত গতি সম্পন্ন জাবালে নূর বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর ওঠে যায়। চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুজন। আহত হন ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম মামলা দায়ের করেন।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জানুয়ারি ২০১৯/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়