ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘রোজ কেয়ামত পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে’

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রোজ কেয়ামত পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত বিএনপি অভিযোগ করবে। তারা যখন দেখে, নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনা নেই, তখনই তারা কারচুপির অভিযোগ করে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসার আগেই হেরে যায়। আর হেরে গিয়ে নালিশ করে। তাদের নালিশ নিয়ে এখন আর কারো মাথাব্যথা নেই। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা ও সত্যতা দেশের জনগণের কাছে নেই।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে যায়। নির্বাচন হওয়ার আগেই তারা নির্বাচন সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে। বিরুপ মন্তব্য করা, নালিশ করা তাদের পুরনো অভ্যাস। যেসব নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হয়েছে, সেসব নির্বাচনেও তারা দেখা গেছে ফলাফল হবে, গণনা চলছে, তখনো জালিয়াতির কথা বলে। এটা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। এটা নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা হাস্যকর হয়ে গেছে। তাদের নালিশের কোনো বাস্তবতা, সত্যতা নেই। দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে (একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) তারা প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। সারা দুনিয়া এই নির্বাচনকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

একতরফা নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উনি কি নির্বাচনের নিয়মকানুন, আইন, আচরণবিধি, সংবিধান এসব মানতে চান না? জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন তো হচ্ছে। গতবারের উপজেলা নির্বাচনেও প্রথম ধাপে বিএনপি মেজরিটি পার্সেন্ট এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় ধাপেও তারা ব্যালেন্স ছিল। তারা এখন নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ, তারা জানে, জাতীয় নির্বাচনে যে ভরাডুবি হয়েছে, তাতে উপজেলা নির্বাচনে আরো শোচনীয় অবস্থা হবে। এই ভয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নারী আসনের মনোনয়নের ক্ষেত্রে ত্যাগী এবং তৃণমূলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক সময় নিয়েছি। আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছেন। এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কয়েকজনের নাম তিনি আমায় লিখে রাখতে বলেছিলেন। অনেককে সেখানে আমার নিতে পারিনি, সেখানেও দু-চারজন সিলেক্টেড হয়েছে। অনেক যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দে আর অল ব্রিলিয়ান্ট, পোলাইট, কমিটেড এবং ডেডিকেটেড।আমাদের দলের প্রতি কমিটেড, দেশ–মুক্তিযুদ্ধের প্রতিও তারা কমিটেড, আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের যে ত্যাগী ভূমিক, সেটা আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, অগ্রাধিকার দিয়েছি।’

‘আমাদের নেত্রীর সক্রিয় মতামতের ভিত্তিতে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, সব অঙ্গনের প্রতিনিধি এখানে আছে। কালচারাল এরিনা থেকে শুরু সকল পর্যায় থেকে নিয়েছি। সেখান থেকে আমার সূবর্ণা মোস্তফাকে নিয়েছি। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ে। আমাদের নেতাকর্মীরা যেখানে দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে ছিল, সাহসী ভূমিকা পালন করেছে, জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে, তাহলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।

ভবিষ্যতে নারী আসন বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, নারী আসন বাড়ানো নয়, কমানোর চিন্তা করছি। এমনিতেই ২৫ বছরের জন্য অন্তর্ভূক্ত আছে। নারীর ক্ষমতায়ন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অনেক আপগ্রেডেড হবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়