ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ৫ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সুষম উন্নয়নের জন্য এসডিজি বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে  কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এসডিজির ৭, ৯ ও ১২ নম্বর লক্ষ্য তিনটি গুণগত শিল্পায়নের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। এগুলোতে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়ন, সবুজ জ্বালানির প্রসার, শিল্প উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, শিল্প সহায়ক অবকাঠামো তৈরি, শিল্পপণ্যের যৌক্তিক ভোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো অর্জনের মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলো দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার থাইল্যান্ড সফররত শিল্পমন্ত্রী সবুজ জ্বালানি ও শিল্পের চালিকাশক্তি হিসেবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে প্রযুক্তির প্রয়োগ: এসডিজি লক্ষ্য ৭, ৯ ও ১২ এর প্রভাব শীর্ষক প্ল্যানারি অধিবেশনে সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন। নবম থ্রিআর ফোরাম উপলক্ষে ব্যাংককের রয়াল অর্চার্ড শেরাটন হোটেলে এ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক ড. স্টেফানোস ফটিউ এর সঞ্চালনায় অধিবেশনে তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়ার আশিয়ান ইকোনোমিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন জ্বালানি অর্থনীতিবিদ ড. ভেঙ্কটচলাম আনবুমোজী, জাপানভিত্তিক জাতিসংঘের আঞ্চলিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক কাজুশিগে এন্ডো এবং থাইল্যান্ড শিল্প মন্ত্রণালয়ের ক্লিন টেকনোলজি ইউনিটের পরিচালক কিতিফন তাপুগাসসাগরন।

এতে আফগানিস্তানের জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার মহাপরিচালক শাহ জামান মাইওয়ান্দি, থাইল্যান্ডের ওয়েস্ট টু এনার্জি গ্রুপের বিকল্প জ্বালানি উন্নয়ন ও দক্ষতা বিষয়ক বিভাগের প্রধান টার্নতিপ সেটচাচারনাট এবং রাশিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় প্রধান ওলগা গোলুব আলোচনায় অংশ নেন।   

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এ খাতে বর্জ্য ও কাঁচামালের অপচয় হ্রাস, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং বর্জ্য পুনরায় ব্যবহারের জন্য পুন:প্রক্রিয়াকরণ বা থ্রিআর কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে। এর ফলে দেশীয় শিল্প কারখানায় কাঁচামালের অপচয় হ্রাসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দক্ষতা বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগে এসএমই খাতে অর্থায়ন বৃদ্ধি, কর অবকাশ সুবিধা সম্প্রসারণ, দক্ষ জনবল তৈরি এবং ব্যবসায়ীক সেবা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়াসহ এসএমই খাতে জৈব জ্বালানি প্রযুক্তির প্রয়োগ, সম্পদ দক্ষ ও উৎপাদনশীল ব্যবস্থাপনা এবং সবুজ শিল্পায়নের জন্য উদ্যোক্তাদেরকে জ্বালানি সাশ্রয়ী উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে মধ্যে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়, প্রচার জোরদার এবং অংশীজনদের নিয়ে সভা-সেমিনার আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ মার্চ ২০১৯/নাসির/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়