ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চিনিশিল্পকে লাভজনক করতে পণ্য বৈচিত্রকরণের নির্দেশ

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ২৪ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চিনিশিল্পকে লাভজনক করতে পণ্য বৈচিত্রকরণের নির্দেশ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বেসরকারি খাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে পণ্য বৈচিত্রকরণ কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এ শিল্প লাভজনক করতে চিনিকলে শুধু চিনি করলেই চলবে না, অন্যান্য খাদ্যপণ্যও উৎপাদন করতে হবে। এ লক্ষ্যে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।’

চিনি শিল্পকে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিভিত্তিক এ শিল্পকে লাভজনক করতে চিনিকলের উপজাত (বাই-প্রোডাক্ট) ব্যবহার করে নতুন পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে। চিনিকলগুলোতে বিদ্যমান কাঁচামাল ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদনের প্রয়াস জোরদার করতে হবে। তিনি ছোট ও নিম্নমানের প্রকল্প না নিয়ে বৃহৎ আকারে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ঘন ঘন খুচরা যন্ত্রাংশ বদলানোর প্রয়োজন হবে, সেগুলো পরিহার করে গুণগতমানের প্রকল্প গ্রহণ এবং দক্ষতার সঙ্গে ওই সব প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর তিনি গুরুত্ব দেন।

হুমায়ূন আরো বলেন, ‘সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে টিম স্পিডের সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে।’ তিনি আসন্ন ঈদ-উল-আযহার আগেই চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সমাপ্ত করার তাগিদ দেন। ঈদের সময় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে যাতে কোনো ধরণের সমস্যা না হয়, সে লক্ষ্যে এখন থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য তিনি চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।

এ সময় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০টি নতুন প্রকল্পসহ মোট ৫২টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৪টি কারিগরি এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ৯শ’ ৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন খাতে ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

সভায় প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্যাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কেন্দ্রিয়ভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন তদারকি এবং অগ্রগতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রচারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মার্চ ২০১৯/নাসির/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়