ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নতুন আইনে প‌্যাকেজ ভ‌্যাট থাকছে

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ৯ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নতুন আইনে প‌্যাকেজ ভ‌্যাট থাকছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : নতুন মূল‌্য সংযোজন কর (মূসক/ভ‌্যাট) আইনের আওতায় প‌্যাকেজ ভ‌্যাটের নামে না থাকলেও এরকম সুবিধা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ তথ‌্য জানান।

এনবিআর চেয়ারম‌্যান বলেন, আগামী বাজেটে ভ‌্যাট আদায়ে জোর দেওয়া হবে। নতুন ভ‌্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে। আগেই বলেছি ভ‌্যাটের হার তিন স্তরের হবে। তবে কোনো পণ‌্য বা সেবা কোন স্তরে যাবে তা এখনই পরিস্কার করা যাবে না। প‌্যাকেজ ভ‌্যাট থাকছে। তবে প‌্যাকেজের নাম না থাকলেও সেটা থাকবে। এখনই সব পরিস্কার করা সম্ভব নয়। ভ‌্যাট ব‌্যবস্থা গতিশীল করতে আমাদের লোকবল দরকার হবে। এজন‌্য আউট সোর্সিং করতে হবে।

তিনি বলেন, ভর্তুকি যাতে ৫ শতাংশের বেশি না হয়। রাজস্ব বাড়ানো দরকার। কারণ কর জিডিপি বাড়াতে হবে। তা না হলে দেশ এগিয়ে যাবে না। কি করে প্রত‌্যক্ষ কর বাড়ানো যায় সে ব‌্যবস্থা নিতে হবে। এমন কিছু পদ্ধতি তৈরি করবো রিটার্ন দাখিলের সংখ‌্যা বাড়ানো যায়।

মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রণোদনা কমিয়ে আনতে চাই। রপ্তানি বৃদ্ধি করতে উদ‌্যোগ নিতে চাই। আমরা চাই গার্মেন্টস খাতকে যেসব সুবিধা দিয়েছি, অন‌্যান‌্য শিল্প বিকাশে একই ধরনের সুবিধা দিতে চাই। অর্থপাচারের বিষয়ে আমরা কঠোর হবো। আগামী বাজেটের আগেই বেশকিছু উদাহরণ দেখতে পারবেন।

আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী নয়, ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের প্রস্তাব দেয় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান এ সময় বলেন, এনবিআর বলছে, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব হবে। সেই লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করছে। সিপিডিও মনে করে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট যাতে ব্যবসায়ী বান্ধব না হয়। কারণ ব্যবসা ও ব্যবসায়ীবান্ধব এক কথা নয়, পার্থক্য আছে। ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও আইন হলে শুধু ব্যবসায়ী নয়, চাকরিজীবি এবং সাধারণ মানুষ এটার ফল ভোগ করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীবান্ধব হয়, তবে কিছুসংখ্যক পুঁজি নিয়ন্ত্রণকারীর পকেট ভারী হবে।

তিনি বলেন, ‘নতুন সরকারে প্রথম বাজেট এটি। এই বাজেট সবচেয়ে গুরুত্ব হলো ভ্যাট আইন। অন্যান্য বছর রাজনৈতিক চাপ থাকে। কিন্তু এ বছর তা থাকবে না। ফলে এখনি সুযোগ নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা। আগামী ২-৩ বছরের ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে না পারলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে আপনাদের। ভ্যাট আইন মূলত প্রণয়ন করা হয়েছিল অটোমেশনের ওপর ভর করে। তাই অটোমেশনে দীর্ঘমেয়াদি ছাড় দিলে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হবে।’

সিপিডির ওই গবেষক বলেন, যাদের টিআইএন আছে তারা ঠিকমত রিটার্ন দিচ্ছেন কিনা তা এনবিআর খতিয়ে দেখতে পারে। তাদের চিহ্নিত করে সামাজিক চাপ তৈরি করতে পারেন। রিটার্ন দিতে বাধ‌্য করতে এসএমএস কিংবা ফোন করে করদাতাদের সতর্ক করা যেতে পারে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়