ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নাসিরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্লান মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরি

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪১, ১০ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নাসিরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্লান মোসাদ্দেকের সেঞ্চুরি

ক্রীড়া প্রতিবেদক : চার বলে তিন উইকেট নিয়ে আবাহনীর টপ অর্ডার গুড়িয়ে দিয়েছিলেন নাসির হোসেন। শেখ জামালের দারুণ বোলিংয়ের জবাব সেঞ্চুরি দিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক।

বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও ভালো করেন নাসির। সতীর্থরা রাখেন অবদান। রোমাঞ্চকর ম্যাচের শেষের নায়ক তানবীর হায়দার। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আবাহনীকে হারিয়েছে শেখ জামাল। এ জয়ে পঞ্চম দল হিসেবে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে কাজী নুরুল হাসান সোহানের দল।

বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২১১ রান করে শিরোপাধারী আবাহনী। জবাবে শেখ জামাল ৭ বল আগে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে।



শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য ১৯ রান লাগত শেখ জামালের। সাইফউদ্দিনের করা ওভারের শেষ দুই বলে এক ছক্কা, চার মারেন মোহাম্মদ এনামুল। মাশরাফির করা পরের ওভারে পরপর দুই চার মারেন তানবীর। তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় শেখ জামালের। ৪৯ বলে ৩ চার ১ ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৮ রানের ইনিংসটি সাজান তানবীর।

এর আগে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানে ২ উইকেট হারায় শেখ জামাল। হাসানুজ্জামান ৩ ও ইলিয়াস সানী শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে। তৃতীয় উইকেটে ইমতিয়াজ ও অমিশতুপ মজুমদার ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ২০তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন সাজনামুল। ৩০ রান করে বিদায় নেন ইমতিয়াজ। নতুন ব্যাটসম্যান সোহানকেও টিকতে দেননি সানজামুল। পরের বলে আউট করেন সোহান। দলীয় ১৪১ রানে সাইফউদ্দিনের শিকার ৫৬ রান করা অমিশতুপ মজুমদার।

সেখান থেকে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন নাসির। দীর্ঘদিন পর হাসে তার ব্যাট। সৌম্যর বলে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ বল করেন ৪৫ রান। শেখ জামালকে শেষ হাসিটা হাসান তানবীর। জিয়াউর রহমান ১৬ ও মোহাম্মদ এনামুল ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।



মাশরাফি আজও ছিলেন উইকেটশূন্য। ৯.৫ ওভারে দিয়েছেন ৪০ রান। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সানজামুল ও সৌম্য সরকার।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার জহুরুলকে হারায় আবাহনী। ষষ্ঠ ওভারে সবথেকে বড় ধাক্কা হজম করে তারা। নাসির দ্বিতীয়, তৃতীয় বলে তুলে নেন জাহিদ জাভেদ (৩) ও সৌম্য সরকারের (১) উইকেট। হ্যাটট্রিক বলটিতে এক রান নেন মিথুন। পঞ্চম বলে বাঁচতে পারেননি শান্ত। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাজঘরে। চার বলে তিন উইকেট হারিয়ে আবাহনী শুরুতেই ব্যাকফুটে।

পঞ্চম উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন মিথুন ও মোসাদ্দেক। মোসাদ্দেক ধীর গতিতে ব্যাটিং করলেও মিথুন নিজের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যান। ৩০ এর ঘরে পৌঁছে যান দ্রুত। কিন্তু ২১তম ওভারে তাকে থামিয়ে দেন সানী। ৪৭ বলে ৩৩ রান করে মিথুন বোল্ড হন বাঁহাতি স্পিনারের বলে।



এরপর মোসাদ্দেকের একার লড়াই শুরু হয়। মাশরাফি ২০, অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন ২৬ রান করে দলের স্কোর সমৃদ্ধ করেন। কিন্তু মোসাদ্দেক একপ্রান্তে ছিলেন দুর্দান্ত। উইকেটের চারিপাশে শট খেলে পেয়ে যান তিন অঙ্কের ছোঁয়া। ৪৯তম ওভার শেষে তার রান ছিল ৯৫। শাকিলের প্রথম বলে ডটের পর দ্বিতীয় বলে ২ রান নেন মোসাদ্দেক। তৃতীয় বলে আবার দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন সানজামুল। চতুর্থ বলে দুই রান নিয়ে মোসাদ্দেক পেয়ে যান সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত এ ব্যাটম্যান অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংটি।
দিন শেষে তার অসাধারণ সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে যায় নাসিরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে। শেখ জামালের জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার নাসির। ১১ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে সুপার লিগে উঠল শেখ জামাল। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে এটি আবাহনীর তৃতীয় হার। ৮ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রূপগঞ্জ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ এপ্রিল ২০১৯/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়