ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নগদ সহায়তা খাতে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকা দাবি

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নগদ সহায়তা খাতে অতিরিক্ত ২০০০ কোটি টাকা দাবি

কেএমএ হাসনাতঃ রপ্তানি খাতের জন্য বিশেষ বিবেচনায় নগদ সহায়তা খাতে দুই হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। চলতি মাসের মধ্যে এ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলে দেশে শ্রমিক অসন্তোষসহ রপ্তানিখাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালের কাছে এক চিঠিতে সংগঠনটির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ আশংকার কথা জানিয়েছেন। তবে অর্থমন্ত্রী বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)- এর বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন তাই এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইএবি দেশের রপ্তানিমুখী সব খাতের অ্যাসোসিয়েশন সমূহের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে রপ্তানিমূখী শিল্প খাতসমূহের অবদান অনস্বীকার্য। রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ সালের স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের পথে দেশের রপ্তানিমূখী খাত সমূহের অবদান ও ভূ’মিকার কথা বিবেচনায় রেখে এবং দেশীয় পশ্চাৎ সংযোগ শিল্পের বিকাশের স্বার্থে বাংলাদেশের সরকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করে রপ্তানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা সেক্টরে বিকল্প নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। তাছাড়া নতুন বাজার সৃষ্টির জন্যও প্রণোদনা রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেলেও জাতীয় বাজেটে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিকল্প সহায়তা বাবদ সমসাময়িক পরিস্থিতি বিবেচনায় যে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া ছিল, সেই একই পরিমান বরাদ্দ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে স্থির রাখা হয়েছে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত অপ্রতুল। প্রতি বছরই চাহিদা বেড়ে বেড়ে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা  প্রাপ্যতা থেকে যায়।

চলতি অর্থবছরে ইতোমধ্যে তিন কোয়ার্টারে মোট তিন হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা ছাড় করা হলেও ক্লেইম জমা পড়েছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার। চতুর্থ কোয়ার্টারের জন্য বাজেটে যে অবশিষ্ট এক হাজার ১২৫ কোটি টাকা রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে এ অর্থবছরের শেষ কোয়ার্টারে বস্ত্র ও অন্যান্য খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য অতিরিক্ত কমপক্ষে দুই হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা বাবদ বরাদ্দ প্রয়োজন হবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আগামী রোজার সময় শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সামনে রোজা এবং ঈদ। এ সময়ে সব খাতেই শ্রমিকসহ অন্যান্য বাবদ দায় পরিশোধে অর্থের একটি অতিরিক্ত চাপ থাকে। সুতরাং এপ্রিল মাসে প্রদেয় চতুর্থ কোয়ার্টারে অতিরিক্ত আরো দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা না হলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে শিল্প মালিকগণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন।

এছাড়াও প্রতিবছর যেখানে দেশের রপ্তানির পরিমান বাড়ছে এবং প্রতিনিয়তই রপ্তানিতে দেশীয় কাঁচামালের ব্যবহার বাড়ছে, সেখানে আগামী অর্থবছরে রপ্তানি খাতের জন্য যদি নগদ সহায়তা বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দ করা না হয়, তাহলে উদ্যোক্তাদের পক্ষে ব্যবসায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। এ অবস্থায় দেশের রপ্তানিমুখী সব খাতের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের পক্ষ থেকে রপ্তানি খাতের জন্য বিশেষ বিবেচনায় নগদ সহায়তা বাবদ অতিরিক্ত দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৯/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়