ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘শুক্রবার সকাল ১০টায় আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘শুক্রবার সকাল ১০টায় আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে’

ফাইল ফটো

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক : শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল।

তি‌নি ব‌লেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ জন্য উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সচিব এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তি‌নি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যদি সন্ধ্যা ৬টায় আঘাত করে তবে আমরা কয়টায় মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পারি? দিনের মধ্যেই আমাদের সরিয়ে নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোথাও কোথাও নিয়ে যেতে ৩-৪ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। তাহলে আমরা সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সকাল ১০টা থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া শুরু করব। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার দেয়া হবে। তারা (জেলা প্রশাসন) ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সন্ধ্যার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’

সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখন তাহলে ভোলা পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলার মধ্যেই লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখি।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিকেল ৫টার মধ্যে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারলেই ভালো।’

তি‌নি বলেন, ‘আমার মনে হয় কক্সবাজারের দিকে আমাদের না করলেও চলবে। তবে হাতিয়া, সন্দ্বীপ ও নোয়াখালী এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে হবে।

 

 

রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/২ মে ২০১৯/নঈমুদ্দীন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়