ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘দেশে কোটিপতির সংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে আয় বৈষম্যও’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৭, ৪ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘দেশে কোটিপতির সংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে আয় বৈষম্যও’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: দেশে কোটিপতির সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি আয় বৈষম্যও বাড়ছে বলে মনে করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।

শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) ৭ম যাকাত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৪ শতাংশ। আমরা তা ২০ থেকে ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছি। একই সঙ্গে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে, আয় বাড়ছে; এটি একদিকে ভালো খবর। তবে কোটিপতি বা আয় বৃদ্ধির মানুষের সঙ্গে আয় বৈষম্যও বাড়ছে। এটি একটি খারাপ দিক। সবকিছুই আমাদের মাথার রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যাকাতের মাধ্যমে দরিদ্রতা দূর হতে পারে। তবে দেশের বিশাল একটি অংশ যাকাত বিষয়ে সচেতন নয়। যাকাতের মধ্যেও দারিদ্র্য দূরের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে। সরকারের সকল প্রকল্পে দরিদ্ররা কতটুকু উপকৃত হবে তা মাথায় রাখা হয়। কর মেলা করে আমরা উপকৃত হয়েছি। যাকাত ফেয়ারের মাধ্যমে দেশ উপকৃত হতে পারে।’

সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এই যাকাত ফেয়ারের আয়োজন করে। মেলায় যাকাত সংক্রান্ত পরামর্শ ডেস্ক রয়েছে। বিভিন্ন ইসলামিক বই বিক্রির স্টল ও যাকাতভিত্তিক বিভিন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত কয়েকটি স্টল রয়েছে। মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ‘আয় বৈষম্য কমাতে যাকাত ও কর’ শীর্ষক এক সেমিনার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তারা জানান, দেশে ৩০ হাজার কোটি টাকা যাকাত আদায়ের সম্ভাবনা থাকলেও সরকারিভাবে আদায় হচ্ছে মাত্র কয়েক কোটি টাকা। ব্যক্তির নিজস্ব উদ্যোগে দেয়া যাকাত বড় অবদান রাখছে না। এজন্য যাকাত আদায় ও বণ্টনে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রতি তাগিদ দেন তারা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে আয় বৈষম্য ধীরে ধীরে বাড়ছে। গিনি কো ইফিসিয়েন্ট সূচক দিয়ে আয় বৈষম্য পরিমাপ করা হয়। এই সূচকের হিসেবে বাংলাদেশে বৈষম্যের মাত্রা শূন্য দশমিক ৪৮। দশমিক পাঁচ হলে অতিমাত্রার বৈষম্য রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। আমরা সেই অবস্থানেই আছি।’

তিনি বলেন, ‘দরিদ্রতা ও আয় বৈষম্য কমাতে যাকাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করের ক্ষেত্রে যেমন অনেকে কর ফাঁকি দেয়, তেমনি অনেকে যাকাত ফাঁকি দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগে যাকাত দেওয়া হয় কিন্তু তা টেকসই নয়। যাকাতকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় রূপ দিয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে সাহায্য করা যেতে পারে।’

মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ, এনবিআরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৯/এম এ রহমান/শাহেদ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়