ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সকলের জন্য পেনশন

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০২, ১৩ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সকলের জন্য পেনশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিজীবীদের মতো দেশের সকল মানুষদের জন্য পেনশন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য সহসা ‘ইউনিভার্সাল পেনশন অথরিটি’ নামে কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারের এ পরিকল্পনার কথা জানান।

দেশের সব মানুষের জন্য পেনশন চালুর লক্ষ্যের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি পেনশন যারা পান, তারা দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ভগ্নাংশ মাত্র। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতসহ দেশের সব মানুষের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। এর জন্য একটি ইউনিভার্সেল পেনশন অথরিটি শিগগিরই গঠন করা হবে।

সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, মাসে মাসে ব্যাংক বা হিসাবরক্ষণ অফিসে হাজিরা ছাড়াই পেনশনাররা যেন তাদের ব্যাংক বা মোবাইল হিসাবে পেনশন পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৭ হাজার পেনশনারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইএফটি’র মাধ্যমে অর্থ পাঠানো হচ্ছে। পেনশন পেতে যেন হয়রানি না হয়, সেজন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) ব্যবস্থার মাধ্যমে পেনশন দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সব পেনশনারকে এই কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

সরকারি কর্মচারীদের গ্রুপ বীমার আওতায় আনার কথা জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ ইনস্যুরেন্স নামে একটি ব্যবস্থা থাকলেও এটি প্রকৃতপক্ষে কোনো বীমা নয়। সব কর্মচারীকে বীমার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কার করে জীবন বীমা করপোরেশনের সহযোগিতায় সমন্বিত একটি বীমা ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করা হবে।

বিকেল ৩টায় চিরাচরিত কালো ব্যাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শারীরিক অসুস্থতার জন্য স্পিকারের সম্মতি নিয়ে তিনি বসেই জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামাল এই প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের এটি টানা একাদশ বাজেট। এর আগের ১০টি বাজেটই উপস্থাপন করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তার সর্বশেষ মেয়াদে মুস্তফা কামাল পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।  প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৫৮ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে না পারা ও উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকারের চেয়ে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ ও সংশোধিত বাজেটের আকারের চেয়ে ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ বড়।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুন ২০১৯/নঈমুদ্দীন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়