ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মামলা জট কমাতে সান্ধ্যকালীন কোর্ট

নাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৩১ মার্চ ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মামলা জট কমাতে সান্ধ্যকালীন কোর্ট

হাইকোর্ট

সংসদ প্রতিবেদক
ঢাকা, ৩১ মার্চ : বিচারাধীন মামলার জট ছাড়াতে সান্ধ্যকালীন কোর্ট বসানোর সুপারিশ করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

বর্তমানে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত মিলে ২৬ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে প্রবীন এই পার্লামেন্টারিয়ান বলেন, এই বিপুল সংখ্যক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হলে দুই আদালতেই দ্বিতীয় শিফট চালু করতে হবে। প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পুনরায় নিয়োগ দিতে হবে। এজন্য উচ্চ আদলতের ক্ষেত্রে আইন সংশোধনের প্রয়োজন হবে। কমিটির পক্ষ থেকে আইন সংশোধনের একটি ড্রাফট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
 
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বল্প সময়ে সুলভে ন্যায় বিচার পাওয়া মানুষের অধিকার। এ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই আইনের শাসন বা সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি বলেন, আইনের শাসন বা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিচারপতিদের মূল্যায়ন করতে হবে।

মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি না করতে পারলে সুশাসন ও গণতন্ত্র সবই ব্যর্থ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও দুই শিফট চালু আছে। আমাদেরকে পুরোনো অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে দুই শিফট চালু করার আগে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। তাদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে।

তিনি জানান, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ইতিমধ্যে এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই শিফট চালু করতে বিচারপতিদের জন্য ৫০ শতাংশ বিশেষ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চাইতে বেতন বেশী হলেও কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।
 
তিনি কয়েকটি দেশের উদাহরণ টেনে বলেন, আমাদের দেশে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেতন ৫৬ হাজার  টাকা। ভারতে প্রধান বিচারপতির বেতন ১ লাখ টাকা। পাকিস্তানে ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং শ্রীলংকায় ৭০ হাজার টাকা। আপিল ডিভিশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের  প্রধান বিচারপতির বেতন ৫৩ হাজার ১০০ টাকা, ভারতে ৯০ হাজার টাকা, পাকিস্তানে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শ্রীলংকায় ৬৫ হাজার টাকা।  

তিনি বলেন, বিচারপতিদের  বেতন যদি পে স্কেলের সঙ্গে তুলনা করা হয় বা সেই ধারায় নেয়া হয় তাহলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সব আটকে যাবে। এতে দেশের সুশাসন বন্ধ হয়ে যাবে। গণতন্ত্র ব্যহত হবে। যে কারণে তাদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে এটাই সাফ কথা।


রাইজিংবিডি/নাগ/সন্তোষ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়