ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুদেশের সম্পর্ক আরো উচ্চমাত্রায় পৌঁছবে

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ১১ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুদেশের সম্পর্ক আরো উচ্চমাত্রায় পৌঁছবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার ভারত সফর করেছেন প্রায় সাত বছর পর। তাঁর এ সফর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফরের আগে থেকেই এ নিয়ে আলোচনা ছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছে, যা নজিরবিহীন। কিন্তু তার চেয়ে চমক ছিল, প্রথা ভেঙে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে আরো দুইবার তিনি এ প্রথা ভেঙেছেন—যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের সময় এ প্রথা ভেঙেছেন মোদি। এবার সেই বিরল সম্মান পেলেন শেখ হাসিনাও।

ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি  ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের ধারাবাহিকতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে সম্পর্কের উন্নতির প্রতিফলন আছে। সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসাও করেন।

শেখ হাসনার সফরের দ্বিতীয় দিনে দিল্লিতে দুদেশের শীর্ষ বৈঠকে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া বহুল আলোচিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে সমর্থন দিয়েছে ভারত।

এবারের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভারত তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাংলাদেশকে সাড়ে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে। এছাড়া সামরিক কেনাকাটায় ঋণ দেবে আরো ৫০ কোটি ডলার। কলকাতা-খুলনা-ঢাকা বাস চলাচল, খুলনা-কলকাতা ট্রেন চলাচল ও রাধিকাপুর-বিরল রেললাইন উদ্বোধন হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দেবে ভারত।

তবে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা ছিল তাঁর এই সফরে অমীমাংসিত সমস্যাসমূহের সমাধান হবে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে যে উষ্ণতা প্রকাশ পেয়েছে, তার ভিত্তিতে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিও দ্রুত হয়ে যাবে হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।মোদি বলেছেন, ‘তাঁর এবং শেখ হাসিনার সরকার শিগগির তিস্তার পানিবণ্টনের সমাধান করবে।’ আমরা আশা করছি, তিস্তা চুক্তি বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হবে।

এছাড়া অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, মহাকাশ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, সেগুলো নিঃসন্দেহে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করবে। দুদেশের সম্পর্ক আগামী দিনে আরো উচ্চমাত্রায় পৌঁছবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ এপ্রিল ২০১৭/আলী নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়