ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রপ্তানিতে উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

এনআর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৯ জুন ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রপ্তানিতে উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

সংসদ প্রতিবেদক : ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে মূল্যের ওপর ১ শতাংশ উৎসে কর কাটার যে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী করেছিলেন, তা কমিয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ করার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সোমবার ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এটিসহ বেশ কিছু প্রস্তাবে পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

 

২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক শতাংশ হারে আরোপ করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি মূল্যের ওপর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্যে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হত।

 

সোমবার বাজেটের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তা কমিয়ে সব ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এ বছর এই সুযোগ দেন, আগামীতে ভালো করলে আপনি বাড়াবেন।’

 

এদিকে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওপর ভ্যাট ছিল না। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

 

তবে প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের বদলে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেন।

 

প্রধানমন্ত্রী ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে সব ধরনের আমদানি শুল্কসহ সব শুল্ক-কর প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের প্রতিষেধক, ভেষজ ও হারবাল ওষুধের কাঁচামালে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান।

 

এছাড়া সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ খাতে গবেষণা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প দেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছে মন্তব্য করে  বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী পোল্ট্রি শিল্পের আয় থেকে কর কাটার প্রস্তাব করেছেন। আমি অনুরোধ করব ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত করা হোক। এরপর ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাঁচ শতাংশ এবং ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ করা হোক। মৎস্য শিল্পের আয়কেও একইভাবে বিবেচনা করার অনুরোধ করেন তিনি।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুন ২০১৫/এনআর/নওশের/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়