ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সাঁওতালপল্লিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত

মোমেনুর রশিদ সাগর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২১, ৪ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাঁওতালপল্লিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত

সাঁওতালপল্লিতে তদন্ত দল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে সহিংসতার ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত টিম দ্বিতীয় দিনের মত ঘটনাস্থলে সরেজমিনে তদন্ত করেছে।

 

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ ঘটনা তদন্ত করতে জয়পুরপাড়া ও মাদারপুর গ্রামে অবস্থান নেওয়া পরিবারের সদস্য ও সাঁওতালপল্লির স্থায়ী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।

 

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাসকিনুল হক।

 

দ্বিতীয় দিনের তদন্তকালে ৬ নভেম্বরের ঘটনা সম্পর্কে সাঁওতালদের পক্ষে ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের বক্তব্য রেকর্ড করেন ।

 

পরে সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রংপুর চিনিকলের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আওয়ালের বক্তব্য রেকর্ড করেন।

 

এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২৭ ডিসেম্বর  প্রথম দিনের তদন্ত কাজ শুরু করেন গাইবান্ধা জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে খামারের জমি দখলকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন তিরবিদ্ধ এবং ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।

 

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অধিবাসী শ্যামল হেমব্রম (৩৫) ও দিনাজপুর জেলার অধিবাসী মঙ্গল মার্ডি (৫০) নামে দুজন সাঁওতাল নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক সাঁওতালের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।

 

 

রাইজিংবিডি/গাইবান্ধা/৪ জানুয়ারি ২০১৭/মোমেনুর রশিদ সাগর/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়