ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পটুয়াখালীর প্রাথমিকে ৯৬৪টি পদেই শিক্ষক নেই

বিলাস দাস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পটুয়াখালীর প্রাথমিকে ৯৬৪টি পদেই শিক্ষক নেই

দশমিনার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

বিলাস দাস, পটুয়াখালী : দীর্ঘ দিন  ধরেই পটুয়াখালী জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯৬৪ টি পদই শূন্য রয়েছে। আবেদন-নিবেদন জানিয়েও পূরণ হয়নি এসব শূন্য পদ।

প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক দুই ক্যাটাগরিতেই রয়েছে এই শিক্ষক সঙ্কট।তবে প্রধান শিক্ষকের কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অথবা সহকারী শিক্ষক দিয়ে।ফলে এসব স্কুলে যথাযথ শিক্ষা অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছে।

পটুয়াখালী জেলার আট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১৯৬, তথ্য পটুয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২০৫টি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  প্রধান শিক্ষক পদে ৮৭, সহকারী পদে ৭০ এবং প্রাক প্রাথমিক পদে ১০টি পদসহ মোট ১৬৭টি পদই শূন্য রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলায় ১৬৬টি পদের মধ্য প্রধান শিক্ষক পদে ৬৬,  সহকারি শিক্ষক পদে ৬৩  এবং প্রাক-প্রাথমিক প্রতিষ্ঠানে ১৬ টিসহ মোট ১৪৫টি পদ শূন্য রয়েছে।

গলাচিপা উপজেলায় ১৮৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক পদে ৫০, সহকারি শিক্ষক পদে ৪৩ এবং প্রাক প্রাথমিক ১৩ টিসহ মোট ১০৬টি পদ শূন্য রয়েছে।

দশমিনা উপজেলায় ১৪১ টি পদের প্রধান শিক্ষক পদে ৯৫ , সহকারি পদে ৬৮ এবং প্রাক প্রাথমিক ৬ টিসহ মোট ১২০টি পদ শূন্য রয়েছে।

বাউফল উপজেলায় প্রধান শিক্ষক পদে ১০০ , সহকারি পদে ৯৫ এবং প্রাক প্রাথমিক ১০ টি সহ মোট ২০৫টি পদ শূন্য রয়েছে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৪২ টি পদের প্রধান শিক্ষক পদে ৬১, সহকারি শিক্ষক পদে ১৬ এবং প্রাক প্রাথমিক ১৯টি সহ মোট ৯৬টি পদ শূন্য রয়েছে।

দুমকী উপজেলায় প্রধান শিক্ষক পদে ২৬,সহকারি শিক্ষক পদে ৩ এবং প্রাক প্রাথমিক ৭টি সহ মোট ৩৬টি পদ শূন্য রয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৬৬ টি পদের প্রধান শিক্ষক পদে ৩৬, সহকারি শিক্ষক পদে ৪৯ এবং প্রাক প্রাথমিক ৪টি সহ মোট ৮৯ টি পদ শূন্য রয়েছে।

জেলা উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসঙ্গে সহকারি শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে অনেককেই। বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় ওই সকল শিক্ষকেরা না ঠিকমতো ক্লাশ খবর নিতে পারছেন, না দাপ্তরিক কাজ ঠিকঠাক করতে পারছেন! এমন বেশিরভাগ স্কুলেই সঠিক সময়ে ক্লাশ শুরু হয় না এবং সময়ের আগেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলার গন্ডাদুলা এম এইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তানিয়া বেগম বলেন, ‘এখন আমি সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছি। প্রশাসনিক দিক সামলানোর পর প্রতিদিন ক্লাশ নেওয়া খুবই কষ্টকর।’

এমন বিদ্যালয়গুলোর অভিভাবকরা নতুন বছরের লেখাপড়ার শুরুতেই দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী জানান, শিক্ষক সংকটের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কিছুই করার নাই। স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষাকার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শিক্ষক সংকটের একটি তালিকা  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।



রাইজিংবিডি/পটুয়াখালী/২৪ মে ২০১৭/বিলাস দাস/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়