নারকেল তেল- মাংস ও মাখনের মতোই অস্বাস্থ্যকর
প্রতীকী ছবি
দেহঘড়ি ডেস্ক : আমরা অনেকেই সেসব স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে পরিচিত, যেগুলো আমরা খবরের মাধ্যমে শুনে থাকি কিংবা স্বাস্থ্য সচেতন বন্ধুদের খেতে দেখি। যেমন বাদাম দুধ, অ্যাগেভ নেকটার, গ্রানোলা।
কিন্তু স্বাস্থ্যকর হিসেবে প্রচলিত এ ধরনের খাবারের মধ্যে বেশিরভাগ খাবারই আপনার ভালো অনুমানের বিপরীত, স্বাস্থ্যের জন্য আসলে ভালো নয়। যেমন রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার। নারকেল তেলে রান্না স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে প্রচলিত হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, খাবারে নারকেল তেল- গরুর মাংস এবং মাখনের মতোই অস্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
ফ্যাট বিষয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ) সম্প্রতি তাদের নির্দেশিকা আপডেট করেছে এবং পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সুস্থ জীবনযাপনে স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে যা মাখন, গরুর মাংস এবং নারকেল তেলের মতো খাদ্যে পাওয়া যায়।
ক্ষতিসাধক স্যাচুরেটেড ফ্যাট মূলত প্রাণীজ উৎস থেকে পাওয়া যায় যেমন- গরুর মাংস, পূর্নমাত্রায় ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি ইত্যাদি। তবে পাম ও নারকেলের তেলের মতো উদ্ভিদজাত দ্রব্যগুলোও স্যাটুরেটেড ফ্যাট ধারণ করতে পারে।
এছাড়া অনেকেই নারকেল তেল স্বাস্থ্যকর খাবার এবং অন্যান্য স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে নারকেল তেলের স্যুাচুরেটেড ফ্যাট ভালো বলে আসলেও, এর স্বপক্ষে কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে এএইচএ।
বেশি পরিমানে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস ইত্যাদির সম্ভাবনা ভীষণ ভাবে বেড়ে যায়।
এএইচএ’র তথ্যানুসারে, নারকেল তেলের ৮২ শতাংশ ফ্যাট হচ্ছে স্যাচুরেটেড, যেখানে গরুর মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমান ৬৩ শতাংশ এবং মাখনে ৫০ শতাংশ। তাই রান্নায় নারকেল তেলের পরিবর্তে অলিভ ওয়েল বা সূর্যমুখীর তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন হার্ট বিশেষজ্ঞরা।
এক টেবিল চামচ নারকেল তেলে যেখানে ১২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট বিদ্যমান, সেখানে একই পরিমান অলিভ ওয়েলে মাত্র ১ গ্রাম বিদ্যমান।
তথ্যসূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৭/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন