ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রিভার্স স্কুপ ছিল গ্যাম্বলিং : অমি

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ১৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিভার্স স্কুপ ছিল গ্যাম্বলিং : অমি

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ঢাকাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে ২ বলে ৪ রান চাই জহুরুল ইসলাম অমির। খুলনার পেসার কার্লোস ব্রাথওয়েটের করা ওভারের প্রথম দুই বল ডট হওয়ায় কিছুটা চাপে ছিলেন অমি। কি করবেন পঞ্চম বলে?

সময় নিয়ে উইকেটের চারপাশে ফিল্ডিং সেট আপ দেখলেন। বোলারের মন পড়ার চেষ্টা করলেন। ইয়র্কারে প্রথম দুই ডট করায় ভেবে নিলেন ওভারের পঞ্চম বলটিও ব্রেথওয়েট ডট করবেন। বিভিন্ন সমীকরণ মিলিয়ে ব্যাটিংয়ে দাঁড়ালেন অমি। বল হাতে ছুটলেন ব্রেথওয়েট। ইয়র্কার লেন্থের বল অমি খেললেন রিভার্স স্কুপ! ডানহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাট উল্টো করে তাক করে থার্ড ম্যান অঞ্চলে পাঠালেন। সার্কেলের ভিতরেই ফিল্ডিং করছিলেন জোফরা আর্চার। কিন্তু তাকে দর্শক হয়ে থাকতে হল। অমির ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল গেল বাউন্ডারিতে। ৪ উইকেট হাতে রেখে খুলনা টাইটান্সের দেওয়া ১৫৭ রানের টার্গেটে জিতে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের স্বাদ দেওয়া অমি জানালেন, রিভার্স স্কুপ শটটি ছিল অনেকটাই গ্যাম্বলিংয়ের মতো!

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে অমি বলেন,‘প্রথম দুই বল ডট খেলে দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলাম। পরে চিন্তা করেছি যেহেতু দুটি বল ইয়র্কার করে সফল হয়েছে আবারও ইয়র্কার করবে। আমি তাই গ্যাম্বলিংয়ের মত চিন্তা করলাম যে থার্ড ম্যান যেহেতু ওপরে, সেদিক দিয়ে উল্টো স্কুপ করব। অনুশীলনে এ শটটা চেষ্টা করি। কিন্তু আজই প্রথম ম্যাচে খেললাম। রিভার্স স্কুপ চেষ্টা করা ছাড়া আমার মাথায় অন্য কিছু আসেনি। সফল হয়েছি দেখে ভালো লাগছে।’

গ্যাম্বলিংয়ের কথা বললেও অনেকটা মাথা খাটিয়েছেন অমি। ব্রেথওয়েটের করা প্রথম দুই বল স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে চেয়েও পারেননি। দ্রুতগতির ইয়ার্কারগুলো মাটি কামড়ে যাচ্ছিল উইকেটরক্ষকের হাতে। তাই পঞ্চম বলে ঠিকমত ফিল্ডিং সেটআপ বুঝে নেন অমি। মিড অন ও মিড অফ ছিল সার্কেলের বাইরে। তাই থার্ড ম্যান কিংবা পয়েন্ট দিয়ে শট নেয়াই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। জাতীয় দলে ৭ টেস্ট ও ১৪ ওয়ানডে খেলা অমি ম্যাচের শেষটা দারুণভাবেই রাঙিয়ে দেন।

বিদেশি ক্রিকেটারদের দাপট ঢাকা ডায়নামাইটসের সবথেকে বেশি। সেই জায়গায় দেশি ক্রিকেটার হিসেবে এমন ম্যাচ জেতানোকে খুব বড় করে দেখছেন অমি। ৩০ বছর বয়সি অমি বলেছেন,‘দলকে জিতিয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমদের যে ব্যাটিং লাইন আপ, এখানে সুযোগ পাওয়া খুবই কঠিন। স্থানীয়রা খুব একটা সুযোগ পাইনি। কারণ বিদেশিদের শক্তির জায়গা বেশি। টি-টোয়েন্টিতে ওরা খুবই ভালো ব্যাটসম্যান।২৪ রানে ৪ উইকেট ছিল, আমি যখন নামলাম। আমাদের মত ক্রিকেটারদের জন্য এটি একটি সুযোগ যে শেষ পর্যন্ত খেলা। সেটাকরতে পেরে ভালো লাগছে।’

পছন্দের জায়গায় খেলতে না পারার সুযোগকে বড় করে দেখছেন না অমি। দলের কম্বিনেশন এবং দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারকে একই সুতোয় গাঁথছেন অমি,‘বিদেশী ক্রিকেটার আর দেশি ক্রিকেটার বলে কিছু নেই। এটি একটি দল। দলের কম্বিনেশনের জন্য যাকে আগে প্রয়োজন হয়, তাকেই নামায়। এখন যেহেতু দল হয়ে গেছি, এভাবে ভাগ করা যাবে না যে বিদেশি বা দেশি।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়