ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জাবির ‘সংশপ্তক’

তহিদুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জাবির ‘সংশপ্তক’

জাবি সংবাদদাতা : বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও সফল সংগ্রাম হলো মহান মুক্তিযুদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ দিয়েছে। ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে।

১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় কিশোর থেকে বৃদ্ধসহ নানা বয়সি মানুষ। কৃষক-মজুর থেকে বিত্তশালী, এ যুদ্ধে শ্রেণি-পেশার কোনো ভেদাভেদ ছিল না। এসব মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেরণা হয়ে আছে।

বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। তাই সে সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস জানার চেষ্টা করে বিভিন্ন স্থাপত্য-ভাস্কর্য দেখে। এই যেমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেম ও সাহসিকতা প্রতিনিয়ত স্মরণ করছে, জানছে ‘সংশপ্তক’ দেখে।

সংশপ্তক হল ধ্রুপদী যোদ্ধাদের নাম, যা একটি ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মরণপণ যুদ্ধে যারা অপরাজিত, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও যারা লড়ে যান অকুতোভয়ে। ভাস্কর্যটির নির্মাতা শিল্পী হামিদুজ্জামান খান।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহ্য ও চেতনাকে স্মরণ রাখতে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হয় ভাস্কর্য ‘সংশপ্তক’। ১৯৮৯ সালের ২৬ মার্চ ভাস্কর্যটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সালেহ আহমেদ। ঠিক এক বছর পরে অর্থাৎ ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে স্থাপন করা হয়েছে ভাস্কর্যটি। মূল ধাতুটি তৈরি করা হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে। এ ছাড়া এটি নির্মাণে লাল সিরামিকের ইট ব্যবহার করা হয়। ভূমি থেকে এর উচ্চতা ১৫ ফুট। শিল্পী হামিদুজ্জামান খান ভাস্কর্যটিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্রোঞ্জের শরীরে প্রতীকী ব্যঞ্জনায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। ভাস্কর্যটি এক পায়ের ওপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে। এটার একটি পা ও একটি হাত নেই আর অন্য হাতে অস্ত্র। এটা দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে- এক পা আর এক হাত হারানোর পরেও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছেন যোদ্ধা অর্থাৎ সংশপ্তক।

আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের চেতনাকে দৃশ্যমান করার লক্ষ্যেই সংশপ্তক প্রতিষ্ঠা করা হয়। তা ছাড়া বর্তমান প্রজন্মের কাছে ভাস্কর্যটি যেকোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন-সংগ্রামের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।



রাইজিংবিডি/জাবি/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭/তহিদুল ইসলাম/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়