ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফেলানী হত্যা: ভারতের সুপ্রিমকোর্টে শুনানি

বাদশাহ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৪, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফেলানী হত্যা: ভারতের সুপ্রিমকোর্টে শুনানি

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা : ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার ঘটনায় ভারতের সুপ্রিমকোর্টে করা দুটি রিটের শুনানি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শুনানির পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে হলফনামা দাখিলের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। বিষয়টি জানিয়েছেন ফেলানী হত্যা মামলায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলামের আইন সহায়তাকারী ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত হয় কিশোরী ফেলানী। নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের সমালোচনার ঝড় তোলে।

সেসময় বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচ বিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ফেলানীর বাবা দুই দফায় বিএসএফের আদালতে সাক্ষী দিয়ে আসেন। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। রায় পুনর্বিবেচনার বিজিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারে অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিশেষ আদালত।

পরে কন্যা হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী  অপর্ণাভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন নুরুল ইসলাম।



রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/১৮ জানুয়ারি ২০১৮/বাদশাহ্ সৈকত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়