ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

রাবির মতিহার হলের বর্ধিতাংশের নির্মাণ বন্ধ

মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫১, ১৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাবির মতিহার হলের বর্ধিতাংশের নির্মাণ বন্ধ

রাবি সংবাদদাতা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহার হলের বর্ধিতাংশের নির্মাণ কাজ অর্থাভাবে বন্ধ আছে। গত বছরের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার চুক্তি থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তৃতীয়বার মেয়াদ বৃদ্ধি করলেও চারটি ব্লকের মধ্যে নির্মাণ শেষ হওয়া ব্লকের গ্রিল, দরজা-জানালা ও রং করার কাজ শেষ হয়নি। হল কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ৪ এপ্রিল হলের বর্ধিতাংশের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল দপ্তরকে লিখিত আবেদন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে হলে অধিকতর আবাসন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে মধ্য, উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব ব্লক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ৯ কোটি ১৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা বরাদ্দে টেন্ডারের মাধ্যমে চার-তলা বিশিষ্ট ব্লকগুলোর নির্মাণ কাজ পায় জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জলের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোসেন এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্ত দেওয়া হয়। কার্যাদেশে ওই টাকার মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি তারা। হলের কাজ শেষ না করে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বিজ্ঞান ভবনের বর্ধিতাংশের নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, চার-তলা বিশিষ্ট নতুন এই চারটি ব্লকের মধ্যে শুধু মধ্য ব্লকের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। বাকি তিনটি ব্লকের শুধু প্রথম তলার কাজ শেষ হয়েছে। টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আসগর বলেন, জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মূল কাজের অধিকাংশ বাকি। সম্পন্ন হওয়া ব্লক হল কর্তৃপক্ষকে বুঝে দেওয়ার কথা ছিল গত বছরের শেষের দিকে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের চারমাস অতিক্রান্ত হলেও বুঝে দিতে পারেনি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হোসেন এন্টারপ্রাইজ’র স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন উজ্জল বলেন, কাজ শেষ করতে তারা অর্থ চেয়ে প্রকৌশল দপ্তরকে জানিয়েছেন। প্রকৌশল দপ্তর থেকে অনুমতি মিললে ভবনের বাকি কাজ করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো সিরাজুম মুনীর বলেন, বিভিন্ন জটিলতায় কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় শেষ হতে সময় লাগছে। আরো এক কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।



রাইজিংবিডি/রাবি/১৪ এপ্রিল ২০১৮/মেহেদী হাসান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়