ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২১ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত বিভাগে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেকশন বোর্ড কর্তৃক মনোনীত শিক্ষকদের নিয়োগের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জানি করেছেন আদালত।

পাশাপাশি মনোনীতদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার এক আবদেনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শিক্ষা সচিব, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ চারজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এস এম মনিরুজ্জামান।

পরে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি বিভাগে এক বছর আগে শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেওয়া হলেও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি ওই বিভাগগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্চ করে মনজুর আরিফসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত সোমবার এ আদেশ দেন।

আইনজীবী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের বিধান অনুযায়ী বাছাই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী  পদে নিয়োগদান করিবে। বাছাই বোর্ডের সুপারিশের সঙ্গে সিন্ডিকেট একমত না হইলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (রাষ্ট্রপতি) নিকট প্রেরণ করা হবে। এ ব্যাপারে তাহার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

এই খানে এমনটি না করে নতুন করে আবার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে যা আইন বহির্ভূত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী পুনঃবিজ্ঞপ্তির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সিন্ডিকেটেও অবহিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিন্ডিকেটের এক সদস্য।

‘শিক্ষক নিয়োগের জন্য আগের উপাচার্যের সময় সাক্ষাৎকার নেওয়া হলো। কিন্তু এক বছরেও সেই নিয়োগ দেওয়া হলো না। এর মধ্যে ওই সাত বিভাগে পুনঃবিজ্ঞপ্তি দেওয়াও বিধিসম্মত হয়নি। কেননা বিজ্ঞপ্তির এ বিষয়টি সিন্ডিকেট সভার আলোচ্য সূচিতে ছিল না।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতাসহ ১৫টি বিভাগে ২৫ জন প্রভাষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী ১৫ বিভাগের মধ্যে ৭টি বিভাগের সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া শেষ করেন। বিভাগগুলো হলো-বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি-এ অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক উপাচার্য বাকি আট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেননি। গত বছরের ৫ মে তার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ওই বছরের ১৪ জুন নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। তার যোগদানের পর তাবিউর রহমান গত বছরের ৭ আগস্ট রিটটি প্রত্যাহার করে নেন।

চলতি বছরের ৩ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে ওই সাত বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের পুনঃবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগে যারা আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৮/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়