ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মেট্রোরেলে চলন্ত সিঁড়ি-ভাড়া ব্যবস্থাপনা কাজের চুক্তি সই

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ৩ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেট্রোরেলে চলন্ত সিঁড়ি-ভাড়া ব্যবস্থাপনা কাজের চুক্তি সই

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) বা মেট্রোরেলে চলন্ত সিঁড়ি ও স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থাপনা নির্মাণ কাজের চুক্তি সই হয়েছে।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্যাকেজ-৭ এর এ চুক্তি সই হয়।

চুক্তিতে মেট্রোরেলের পক্ষে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএন সিদ্দিক এবং মারুবেনি-লারসেন-টুবরু কোম্পানির পক্ষে রাজিব জয়তি সই করেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, প্রকল্পের পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মারুবেনি-লারসেন-টুবরু জাপান ও ভারতের যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানি। প্যাকেজ-৭ এর আওতায় মোট ৪ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ বাস্তবায়ন করবে কোম্পানিটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে কাজ চলছে। ২০১৯ সালের মধ্যে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার কথা।

প্যাকেজ-৭ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম) এর  আওতায় চলন্ত সিড়ি, রেলওয়ে  ট্র্যাক ও স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থাপনা কাজ হবে। এর আগে প্যাকেজ-৮ এর চুক্তি সই হয়।

প্রসঙ্গত, মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের যাত্রাকালে ১৬টি স্টেশন থাকবে। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।

এদিকে, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, এ প্রকল্পটি আটটি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে ১ নম্বর প্যাকেজের আওতায় দিয়াবাড়ি এলাকায় ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। এ বছরের জানুয়ারিতে এ কাজের ১০০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ করা হচ্ছে প্যাকেজ-২ এর আওতায়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এ কাজের বাস্তব অগ্রগতি চার ভাগ।

প্যাকেজ ৩ এবং ৪ এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৫ ভাগ। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট এবং স্টেশন নির্মাণকাজ হচ্ছে প্যাকেজ ৫ এবং ৬ এর অধীনে। এ দুটি প্যাকেজের বাস্তব কাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে পুরো প্রকল্প এলাকায় ভূমি জরিপ শেষ হয়ে গেছে।

প্রকল্পের বৈদ্যুতিক এবং মেকানিক্যাল সিস্টেম বাস্তবায়ন হচ্ছে ৭ নম্বর প্যাকেজের আওতায়। রেলের কোচ এবং ডিপোর যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ হচ্ছে প্যাকেজ ৮-এর অধীনে।

প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১২টি জরিপকাজের সবগুলোই শেষ হয়েছে। উত্তরা থেকে শাহবাগের বারডেম হাসপাতাল পর্যন্ত প্রকল্পের পরিসেবা স্থানান্তর (ইউটিলিটি রিলোকেট) হয়েছে।

প্রকল্প কাজের জন্য নির্ধারিত এলাকায় বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজও শেষ। এছাড়া আগারগাঁও পর্যন্ত সড়কের মিডিয়ান অপসারণ করা হয়েছে।

আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি টেস্ট পাইলের মধ্যে সবগুলোর কাজ শেষ করা হয়েছে। টেস্ট পাইল করার পর মাটির মান পরীক্ষা করতে ৩৮৩টি চেকবোরিংয়ের মধ্যে ৩৬৩টি করা হয়েছে। দুই হাজার ৩৭৮টি পাইলের মধ্যে ৭০৪টা শেষ হয়েছে। পাইলের ওপর বসবে পিয়ারক্যাপ। পিয়ারক্যাপের ওপর ৭৩১টি পিয়ার বসবে। পিয়ারের ওপর বসানো হবে ভায়াডাক্ট, যার ওপর দিয়ে মেট্টো ট্রেন চলবে।

সরকারের অর্ডারের ভিত্তিতে জাপানে ট্রেন তৈরির কাজ চলছে। ট্রেনে লালসবুজের প্রাধান্য থাকবে বলে সরকারের দাযিত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুন ২০১৮/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়