মিউনিখ সম্মেলনে নিরাপত্তা বিষয়ে শক্তিধর দেশের অবস্থান জানা যাবে

সচিবালয় প্রতিবেদক : জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিতব্য ৫৫তম সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি জানার সুযোগ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, মিউনিখ সম্মেলনে বিশ্বের ২৫টিরও  বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিপুলসংখ্যক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলনে বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, বিশ্ব মেরুকরণের মাত্রা ও প্রবণতা সম্পর্কেও ধারণা লাভ করা যাবে।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ছয় দিনের সফরে জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন। মিউনিক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি প্রথমে জার্মানি যাবেন। জার্মানি থেকে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে ৫৫তম সম্মেলনে অংশ নেবেন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে নিরাপত্তা হুমকি’ ও ‘স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক’ সংক্রান্ত দুইটি সেশনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় বিশ্বের দেশগুলোর প্রাপ্তি, সম্মেলনে দাতা দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন অঙ্গীকারসহ বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য পরিবেশ, উদ্বাস্তু ও অভিবাসন বিষয় স্থান পাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, জার্মানভিত্তিক কোম্পানি সিমেন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে।  সম্মেলনে যোগদানকালে এ বিষয়ে যৌথ উন্নয়ন চুক্তি (জেডিএ) সই হতে পারে।

তিনি বলেন, জার্মানির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে। উজ্জ্বল হবে দেশের ভাবমূর্তিও।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসান/সাইফ