ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভোগান্তিতে সাত কলেজ, ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোগান্তিতে সাত কলেজ, ফের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করার পর থেকেই ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী।

নানা অনিয়মের অভিযোগ করে বার বার রাস্তায় নেমেছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করছে এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তারা জানিয়েছেন, সময়মত পরীক্ষা না নেওয়া, রেজাল্ট প্রকাশে সাত থেকে আট মাস বিলম্ব, বিনা নোটিশে নতুন নিয়ম কর্যকর, একই বিষয়ে গণহারে ফেল, খাতার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া, সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নপদ্ধতি এমন নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এ সমস্যার সমাধান হয়নি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাবি কর্তৃপক্ষ বার বার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার ফল পাচ্ছে না তারা। তাদের সংকট ক্রমেই বাড়ছে। এ অবস্থায় পাঁচ দফা দাবিতে আবারো মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা কলেজের প্রধান গেটের সামনে এ মানববন্ধন করবেন তারা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটি মুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করতে হবে। তারা উল্লেখ করেছেন- ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল ২০১৮ সালে প্রকাশিত হলেও সব বর্ষে পাশ থাকা সত্ত্বেও এখনো অনেকের সিজিপিএ আসেনি। তাই দ্রুত সিজিপিএ সমন্বয় করতে হবে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই শেষ হলেও এখনো সকল বিভাগের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।

২। ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন- যেমন ইডেনের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ৩০০ জন শিক্ষার্থী প্রথমবর্ষে শুধু বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে ফেল করার পুনরায় সবার খাতা নিরীক্ষনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে প্রকাশিত ফলাফলে ৩/৪ জন ছাড়া সবাই পাশ করে।

৩। সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন চাই। স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন না থাকায় সাত কলেজের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। যেমন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ২০১৬ সালের মাস্টার্স এবং ডিগ্রি ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালের পরীক্ষা ২০১৯ সালে এসেও এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।

৪। প্রতিমাসে প্রত্যেকটা বিভাগে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে। এটা যদি ঢাবির পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে সাত কলেজের প্রশ্ন প্রণয়ন এবং খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব অবশ্যই সাত কলেজের শিক্ষকদের দিতে হবে।

৫। সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেণ্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৯/ইয়ামিন/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়