আরো ভয়াল তিস্তার রূপ, রেড অ্যালার্ট বহাল
ইয়াছিন মোহাম্মমদ সিথুন || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
নীলফামারী প্রতিনিধি : উজানের ঢলে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৪০) ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
বুধবার সন্ধায় ৬টায় এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ১২ ঘন্টার ব্যবধানে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা অববাহিকার ৫০ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে নিদারুন কষ্ট ভোগ করছে। প্রতিটি ঘরবাড়ি গলা সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। লাখ লাখ বন্যাকবলিত মানুষ তাদের গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে তিস্তা ডান তীর ও বাম তীর বাঁধে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাতে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, তিস্তা ব্যারাজের উত্তরের ফ্ল্যাড ফিউজটি অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও বুধবার রাতে তিস্তার উজানের ঢলে চাপে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি সীমান্তের ৭৯৬ পিলারের সঙ্গে ভারত বাংলাদেশের যৌথ বালির বাঁধটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই এলাকার কয়েক শত বাড়ি-ঘর তলিয়ে যায় বলে ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, তার এলাকার স্বপন বাঁধের ৫০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ওই বাঁধটি রক্ষায় এলাকার মানুষজন রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী এলাকায় তিস্তা নদীর ডান তীর হুমকীর মুখে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় তিস্তা অববাহিকায় রেড অ্যালার্ট অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রাইজিংবিডি/নীলফামারী/২ জুলাই ২০১৫/ইয়াছিন মোহাম্মমদ সিথুন/দিলারা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন