ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বক্তব্যে বিশেষণ কমান : কাদের

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বক্তব্যে বিশেষণ কমান : কাদের

বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : বক্তব্যে বিশেষণ এবং মঞ্চে বক্তার সংখ্যা কমানোর জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এখন থেকে ভাষণ কম, অ্যাকশন বেশি। বক্তব্যে বিশেষণ কমান। মঞ্চে বক্তার সংখ্যা কমান। এখন বিলবোর্ডের বাড়াবাড়ি নেই। কোনো নেতার ছবি নেই। এখন পোস্টার, বিলবোর্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি থাকবে।’

তিনি নেতা-কর্মীদের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে পরামর্শ দেন।

বোরবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মী সমাবেশে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়।

ওবায়দুর কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে দিন দিন নেতা বাড়ছে। কর্মী কমছে। কর্মী বাড়াতে হবে। দলভারি করার জন্য খারাপ লোকদের দলে টানবেন না। কোথাও কোনো পকেট কমিটি করবেন না। কোনো প্রকার কোন্দল সহ্য করা হবে না।’ 

তিনি বলেন, কর্মীরাই দলের মেরুদণ্ড। বঙ্গবন্ধুকে কর্মীরাই জেল থেকে বের করে এনেছিল। ১/১১ পর শেখ হাসিনাকে দলের কর্মীরাই আন্দোলন করে বের করেছিল।

আগামী নির্বাচনের জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলকে সুসংগঠিত করে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মাদকের ভয়াবহ ছোবলে একটি প্রজন্ম শেষ হয়ে যেতে বসেছে। এ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। সর্বস্তরে মাদককে না বলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামী প্রজন্ম নিয়ে যেমন ভাবছেন, তেমন তিনি আগামী নির্বাচন নিয়েও ভাবছেন। রাজনীতিতে দ্বিমত থাকতে পারে। সব দ্বিমত ভুলে গিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।

নতুন নির্বাচন কমিনশন গঠন করতে রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করার পর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি যখন সার্চ কমিটি দিলেন, তখন তারা বেজার হলেন। সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির মধ্যেও দ্বিমত রয়েছে। সার্চ কমিটি দেওয়ায় ফখরুল অখুশি, তবে মওদুদ আশাবাদী। তাদের মধ্যে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে।’   

আগামী জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। উন্নয়নমূলক কোনো কাজে অংশ নেবে না। আমরা প্রমাণ করব- আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো মডেল নির্বাচন।’

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক টিপু মুনশি, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/রংপুর/২৯ জানুয়ারি ২০১৭/নজরুল মৃধা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়