ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সিরিয়ার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ হামলায় নিহত ২৮

রাসেল পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিরিয়ার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ হামলায় নিহত ২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে তুরস্কের সীমান্তের কাছে ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এই অঞ্চলে বিদ্রোহীদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, তুর্কি সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আমানাজ শহরে শুক্রবার রাতে বিমান হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে।

সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিমান থেকে নাকি তাদের মিত্র রাশিয়ার বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সিরিয়ান অবজারভেটরির মতে, বোমা হামলার পর এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে। উল্লেখ্য, নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিরিয়ার অভ্যন্তরে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে এই সংস্থা। তারা আরো জানিয়েছে, তল্লাশি ও উদ্ধারাভিযান চালানোর সময়ও সেখানে আবার বিমান হামলা হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবারের এ হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছে। তবে নিরপেক্ষ সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাশিয়া ও সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা শুধু সশস্ত্র জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। বেসামরিক লোকজন হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তারা।

১৯ সেপ্টেম্বর সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি এলাকায় বিদ্রোহীরা হামলা শুরু করায় ইদলিবে বিমান হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে সিরিয়া ও রাশিয়া। তবে গত মাসে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে তুরস্ক, রাশিয়া ও ইরান ইদলিবে নিরাপদ অঞ্চল (সেফ জোন) গঠনে একমত হয়। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইদলিবে নিরাপদ অঞ্চলে গঠনে মতৈক্যে পৌঁছান।

সিরিয়া বলেছে, ইদলিবে নিরাপদ অঞ্চল গঠন নিয়ে মতৈক্য ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও হায়াত থারির আল-শামের মতো কট্টর জঙ্গিগোষ্ঠীর বেলায় প্রযোজ্য নয়।

২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সেই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ মানুষ মারা গেছে। উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় ১ কোটি মানুষ। এই যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে লড়ছে রাশিয়া, ইরান ও লেবানন। আর আদাসের বিরোধী বিদ্রোহীগোষ্ঠীর পক্ষে লড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়