ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সন্ধ্যায় দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিচ্ছেন আবদুল হামিদ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সন্ধ্যায় দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিচ্ছেন আবদুল হামিদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ শপথ গ্রহণ করবেন মো. আবদুল হামিদ। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৬ জন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। আবদুল হামিদ এ পদে ১৭তম ব্যক্তি। তবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন কেবল আবদুল হামিদ একাই। সংবিধানে সর্বোচ্চ দুই বার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার সুযোগ থাকায় এটাই হবে তার শেষ মেয়াদ।

আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি, দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতিবৃন্দ, বিচারকগণ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সিনিয়র রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি পদে বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান মো. আবদুল হামিদকে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আবদুল হামিদকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

প্রথম মেয়াদে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন আবদুল হামিদ। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে আসায় গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। ৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন দাখিলের দিন একমাত্র আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্রই জমা পড়ে।

তার আগে রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে তিনি ২০১৩ সলের ১৪ মার্চ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি ২০১৩ সালের ২০ মার্চ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন।

ভাটির শার্দূল হিসেবে পরিচিত আবদুল হামিদ  ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। কৈশোরেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।  ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয় তাকে।

১৯৭৩ সালের দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ, ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ, ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ, ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ এবং সর্বশেষ ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এর মধ্যে সপ্তম সংসদে ১৯৯৬ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২০০১ এর ১০ জুলাই পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। এরপর ২০০১ এর ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিকারের দায়িত্ব পান। আর নবম সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো স্পিকার হন তিনি। আর ২০১৩ সালে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গভবনের বাসিন্দা হন আবদুল হামিদ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৮/হাসান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়