ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শাহবাগে বসিয়েছে সরকার : বিএনপি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ৪ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শাহবাগে বসিয়েছে সরকার : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : কোটা বহাল রাখার দাবিতে শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিক্ষোভে সরকারের প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। কোটা সংস্কারের আন্দোলন বাস্তবায়িত হতে দেবে না বলেই সরকার দুরভিসন্ধিমুলকভাবে তাদের সেখানে বসিয়েছে বলে দাবি দলটির।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন আন্দোলন করো। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততিদের বসিয়েছেন। সরকার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েই তাদের বসিয়েছেন। বুঝতে পারছেন কত দুরভিসন্ধিমূলকভাবে এই কাজটি করছে।’

‘সরকার এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এবং উদ্দেশ্য এটাকে বিভ্রান্ত করা। এটা যাতে বাস্তবায়িত না হয় সরকারই এই কাজগুলো করছে’ বলেন তিনি।

কোটা নিয়ে সরকার দ্বিচারিতা করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আন্দোলনকারী তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা কখনো কোটা বাতিল চায়নি; তারপরেও সিদ্ধান্ত হয়েছে কোটা তুলে নেওয়ার। আবার এদিকে ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতি-নাতনীদেরকেও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, উপজাতীয়দের নামিয়ে দেওয়া হয়েছে; এটা দ্বিচারিতা। আল্টিমেটলি এই যে কোটা সংস্কারের আন্দোলন তারা বাস্তবায়িত হতে দেবে না।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, উনি কেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যাপারে এতো উৎসাহী? কেন পুলিশকে লাগাম ছাড়া লাইসেন্স দিয়েছেন পত্রিকায় অফিসে ঢুকে কাগজপত্র সিজ করার এবং গ্রেপ্তার করার- কেন এতো উৎসাহী। অন্য গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।

তিনি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অধিকার-এটা হচ্ছে ভোটারদের; এটা সত্য জিনিস। এই অধিকার এখন ভোটারদের নেই। সাংবাদিকদের সেটা প্রকাশ করার কোনো অধিকার থাকবে না। সেই অধিকার বন্ধ করার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। অর্থাৎ এই সরকারের দুর্নীতি, মেগা দুর্নীতি যাতে প্রকাশ করা না হয় সেজন্য এই আইন করা হয়েছে।’

রিজভী বলেন, যেসব মহাদুর্নীতি আছে যার সাথে মহা শক্তিশালীরা জড়িত তা যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্যই সরকারের এই আইন। জনগণকে কণ্ঠস্বরকে বন্ধ করার জন্য উনি কফিনের শেষ প্যারেগটি টোকার কাজটি করেছেন।

বুধবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে বিএনপির স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি হামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আবদুল বারী ড্য্যানি, জেডএম মূতর্জা চৌধুরী তুলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ অক্টোবর ২০১৮/রেজা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়