ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

৫টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফটের সেবা বাস্তবায়ন করেছে ইজেনারেশন

মনিরুল হক ফিরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
৫টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফটের সেবা বাস্তবায়ন করেছে ইজেনারেশন

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইটি কনসাল্টিং ও সফটওয়্যার সল্যুউশন প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন লিমিটেড গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৫টি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফট সল্যুউশন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।

বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের একমাত্র লাইসেন্সিং সল্যুউশনস পার্টনার (এলএসপি) হিসেবে ইজেনারেশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, আনোয়ার গ্রুপ এবং বিকাশ লিমিটেডে এই প্রান্তিকে মাইক্রোসফট সল্যুউশন বাস্তবায়ন করেছে।

এই সফলতা উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওয়েস্টিন ঢাকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইকবাল আহমেদ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শিরিন, আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেইন খালেদ, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ জিয়া মোল্লাহ এবং বিকাশ লিমিটেডের সাপ্লাই চেইন অ্যান্ড প্রোকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপক এসএম সাকলানুল হক রুমনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন মাইক্রোসফটের সাউথ ইস্ট এশিয়া নিউ মার্কেটসের প্রেসিডেন্ট সুক হুন চিয়াহ। এসব প্রতিষ্ঠানে মাইক্রোসফটের মেসেজিং সল্যুউশনস, অফিস ৩৬৫, অ্যাজিউর হাইব্রিড অ্যান্ড ক্লাউড সল্যুউশনস, সিস্টেম সেন্টার প্রোডাক্টস অ্যান্ড সল্যুউশনস, মাইক্রোসফট ডায়নামিকস ৩৬৫, পাওয়ার বি, শেয়ারপয়েন্ট ইত্যাদি সল্যুউশন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

ইজেনারেশন লিমিটেড এবং মাইক্রোসফটের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন উইথ ইমার্জিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক নলেজ শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন খাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) ও আইটি বিভাগের প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। ইজেনারেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীম আহসানের সভাপতিত্বে উক্ত সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুশফিক আহমেদ। ইজেনারেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (কৌশল ও পরিকল্পনা) সৈয়দা কামরুন আহমেদ, নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম, পরিচালক (উন্নয়ন) রুমি এফ আহসান ও ব্যবসায় উন্নয়ন বিভাগের প্রধান এমরান আবদুল্লাহ। মাইক্রোসফটের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির, পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজর মোহাম্মাদ আরিফ হোসেন ও কর্পোরেট অ্যাকাউন্ট লিড জিয়াউল হক মল্লিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ শামস-উল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ এবং ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক।

সুক হুন চিয়াহ বলেন, ডিজিটাল রুপান্তরের মাধ্যমে ২০২১ সাল নাগাদ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জিডিপি এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। ক্লাউড সেবা গ্রহণের আগ্রহ ও ডিজিটাল ইকোনমি হওয়ার প্রবণতা থাকায় এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বাজারগুলোর বড় সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন নতুন ভ্যালু চালু, অভিজ্ঞতা উন্নয়ন ও ডিজিটাল যুগের গ্রাহকদের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও লাওসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবীর বলেন, লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে ইজেনারেশনের শুধুমাত্র সঠিক প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা, নিবেদিত সাপোর্ট টিম, অভিজ্ঞ আইটি প্রফেশনালস’ই নয়, রয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসায়ের ডিজিটাল রুপান্তরের সফলতাও। ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায়কে শক্তিশালী করতে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। মাইক্রোসফট প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত, প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি এবং আরো লক্ষমাত্রা অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

শামীম আহসান বলেন, সিস্টেম ইন্টিগ্রেটর হিসেবে ইজেনারেশন সক্ষমতা তৈরি করেছে এবং বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে তাদের গ্রাহক অভিজ্ঞতায় নতুনত্ব, ডাটার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং অপারেশনাল মডেল পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিজিটালনির্ভর প্রতিষ্ঠান তৈরিতে কাজ করছি। জালিয়াতি ধরা, সমন্বয়, রিপোর্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ক্লিয়ারিং, সেটেলমেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদিতে সহায়তা করার জন্য মাইক্রোসফট ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইজেনারেশন। আমরা বাংলাদেশব্যাপী ডিজিটাল রুপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে আশাবাদী।

মাইক্রোসফট ও আইডিসি এশিয়া/প্যাসিফিক প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল রুপান্তর গ্রহণ করেছে তারা আগের বছরের তুলনায় তাদের ব্যবসায় বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পেয়েছে। ২০১৭ সালে, যেসব প্রতিষ্ঠান পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল রুপান্তর করেছে তাদের মুনাফার পরিমান, কার্যকারীতা, গ্রাহকদের সমর্থন, গ্রাহক অধিগ্রহণের হার এবং নতুন পণ্য ও সেবা থেকে আয়ের পরিমান ১৩ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি, ডিজিটাল রুপান্তরের লাভজনক ফলাফলের মাধ্যমে ২০২০ সাল নাগাদ গ্রাহক অধিগ্রহণের হার ৭০ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ অক্টোবর ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়