ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার জনগণের ইশতেহার : ড. কামাল

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার জনগণের ইশতেহার : ড. কামাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহারকে 'জনগণের ইশতেহার' হিসেবে অভিহিত করেছেন ফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, 'আজকের এই দিনটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জন্য যে, আজ আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি। এটা জনগণের ইশতেহার ৷'

‘জনগণের কল্যাণে, জনমতের ভিত্তিতে এটা তৈরি করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণের ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ হবে গুম, খুন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত শান্তি সুখের বাংলাদেশ।’

সোমবার দুপুরে রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণার সময়ে তিনি এসব কথা বলেন। ৩০ ডিসেম্বর জনগণ ভোট দিতে না পারলে দেশের অবস্থা ভয়াবহতার দিকে রূপ নিতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন ড. কামাল।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ এক যুগ পর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল কিন্তু এই নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের নানা রকম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদেরকে সঙ্কিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নামে যে প্রহসনটি হয়েছিল সেটা সংবিধানে বর্ণিত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার সাথে সাংঘর্ষিক। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই এই জনগণ এই রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে। জনগণ যখন রাষ্ট্রের মালিক থাকে না তখন রাষ্ট্রের মালিক হয়ে পড়ে কায়েমী স্বার্থবাদী দেশি-বিদেশি নানা গোষ্ঠী। এর মাশুল দিতে হয়েছে এ দেশের মানুষকে।'

গণফোরাম সভাপতি বলেন, এই রাষ্ট্রটি মানুষের জন্য একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে উঠবে কিনা, সেটা নিশ্চিত হয়ে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যদি এই রাষ্ট্র জনগণের হাতে আবার ফেরত যায়। জনগণ তার মালিকানা ফিরে পায়। জনগণের সর্বাঙ্গীন কল্যাণ তখনই নিশ্চিত হতে পারে যখন সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই রাষ্ট্রের মালিক হবে জনগণ।

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও বলতে চাই এই রাষ্ট্রের মেরামত প্রয়োজন। আগামী সাধারণ নির্বাচনের দিন, ৩০ ডিসেম্বর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিশ্বাস করে, সেদিন দলে দলে, জনে জনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে, ভোট দেবে। ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে ভোটের অনিয়ম রুখবে, ভোট শেষ হবার পর নিজেদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া দেখে বাড়ি ফিরবে।’

ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের দিন হবে উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনও আশাবাদী, আশা করছি পরিশেষে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলার জনগণ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। পুনরুদ্ধার হবে নিবিড় গণতন্ত্র।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৮/রেজা/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়