এইসব ক্ষণজন্মা ব্যক্তি আবার কবে আসবেন : কুমার বিশ্বজিৎ
বিনোদন প্রতিবেদক : মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গণে শোকের ছায়া নেমেছে। তার লেখা ও সুরে গেয়েছেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা। বিখ্যাত সংগীত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যু খবরে তার বাসায় ছুটে যান সংগীতাঙ্গনের অনেকেই।
এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎ, শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, ইথুন বাবু, আসিফ ইকবাল, কবির বকুল, দিনাত জাহান মুন্নি, ক্লোজআপ ওয়ানের সালমা, মুহিন, সাব্বির, রিংকুসহ অনেকেই ছুটে যান আফতাব নগরে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বাসায়। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তারা।
এ সময় কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বুলবুল ভাইয়ের অসংখ্য স্মৃতি। আমি তার প্রথম চলচ্চিত্রে গান করেছি। অ্যালবামে কাজ করেছি। রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান : তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একসঙ্গে কাটিয়েছি। বুলবুল ভাই চলে যাওয়ার পর মনে হলো, এইসব ক্ষণজন্মা ব্যক্তি আর কবে আসবে আমাদের দেশে, এটা আমি জানি না।’’
তার মরদেহ বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোর ৪টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এরপর মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে পৌঁছানের আগেই তিনি মারা গেছেন। আগামীকাল মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে এই কিংবদন্তিকে।
১৯৫৭ সালে ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল দেশের সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জানুয়ারি ২০১৯/রাহাত/শান্ত
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন