ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে প্রয়োজনে কাজ করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ১৭ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে প্রয়োজনে কাজ করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান’

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী (ছবি : আসাদ আল মাহমুদ)

নিজস্ব প্রতিবেদক : গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য প্রয়োজনে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। আমরা ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশের কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। তবে তার আগে দেশি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’

বুধবার সচিবালয়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানাতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভবনটি ভাঙতে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য যা করার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। আমরা আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে এ জাতীয় ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে যারা এক্সপার্ট তাদের কোটেশন দিতে অনুরোধ করেছি। আগামী ২৪ তারিখের মধ্যে ভবনটি ভাঙার জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়া না গেলে আমরা নিজেরাই রাজউকের পক্ষে প্রয়োজনে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ভবনটি ভেঙে ফেলব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ভবনটি ভাঙার জন্য কী ধরনের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন তা তৈরি এবং ভবনটি গুড়িয়ে দেওয়ার পরে যাতে আশেপাশে কেউ দুর্ঘটনার মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হযেছে। বিদ্যুতের লাইন অনেক দূর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে র‌্যাংগস ভবন ভাঙতে গিয়ে বেশকিছু প্রাণহানী হয়েছে। এবার সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত প্রস্তুতি নিচ্ছি যাতে কোনরকম অনাকাঙিখত ঘটনা না ঘটে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের আলোকেই আমরা সেটাকে ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছি।’

গৃহায়ণ মন্ত্রী বলেন, ‘গতকালই (মঙ্গলবার) আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভবনটিকে আমাদের দখলে নিয়েছি। ভবনে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি। ভবনে সেবমূলক যেসব সংযোগ ছিল তা বিচ্ছিন্ন করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে দায় দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। আমরা চাই রাষ্ট্রের চমৎকার একটি স্থাপনার মাঝখানে বেআইনি এ জাতীয় একটি ভবন যাতে টিকে না যায়। এটা ভেঙে দিয়ে আমরা দেশবাসীকে জানাতে চাই কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যে যেখানেই বেআইনি ইমারত নির্মাণ করবে সেসব ভবন আমরা ভেঙে ফেলব। যাতে কেউ বলতে না পারে আমি ইমারত নির্মাণ করে ফেলেছি এখন আর ভাঙার সুযোগ নেই।’




রাই‌জিং‌বি‌ডি/ঢাকা/১৭ এ‌প্রিল ২০১৯/আসাদ/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়