ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

এজলাস কক্ষে কাঁদলেন বিচারপতি

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ১৯ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এজলাস কক্ষে কাঁদলেন বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাব্বিশ মার্চে ভোরবেলায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা যা এখনও বাঙালি জাতিকে শিহরিত করে, অনুপ্রেরণা যোগায়। সেই স্বাধীনতার ঘোষণা পড়তে গিয়ে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা করলেন বিচারপতি।

রোববার, আদালতের ঘড়ির কাটায় তখন ১২টা ১৫ মিনিট। মুক্তিযোদ্ধার ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ নিয়ে রায় ঘোষণা চলছিল। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা রায় ঘোষণার শেষ পর্যায়ে এসে রায় প্রদানকারী হাইকোর্ট বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ কেঁদে ফেলেন। এ সময় রায়ের মধ্যে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাটি পড়ছিলেন। এরপর হঠাৎ একটু থেমে যান। তারপর তিনি বলেন উঠেন ‘আমি একটু ইমোশনাল হয়ে গেছি। আমার মনে হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৬ মার্চ ভোরবেলার দেওয়া স্বাধীনতার এ ঘোষণাটি পড়লে যে কেউই আবেগপ্রবণ হয়ে যাবে।’ এ সময় তিনি বারবার চোখ মোছেন। এ দৃশ্যপটের অবতারণা হলে রিটের পক্ষের আইনজীবীরা দাঁড়িয়ে যান।

এরপর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে জারি করা সরকারের গেজেট ও এ সংক্রান্ত আইনের ধার অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বকেয়াসহ বন্ধ থাকা সম্মানি ভাতা পরিশোধ বা চালু করতে বলেছে আদালত। রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এটি কার্যকর করতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষের আইনজীবী পরে বলেন, ‘এ রায়ের ফলে বয়সের ফ্রেমে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে নিরুপণ করা যাবে না।’

এর আগে মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩টি গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এসব গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হতে হলে ১৩ বছর। যার সর্বশেষটিতে ১২ বছর ৬ মাস বয়স নির্ধারণ করা হয়। পরে এসব গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ১৫ টি রিট করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ মে ২০১৯/মেহেদী/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়