ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এসডিজিই সম্মেলন শুরু ১৪ জানুয়ারি

মিথুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এসডিজিই সম্মেলন শুরু ১৪ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে আগামী ১৪ জানুয়ারি দুদিনব্যাপী ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও পরিবেশ (এসডিজিই) বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন’ শুরু হবে।

 

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও পরিবেশ (এসডিজিই) বিষয়ক বিশেষ সম্মেলন’ আয়োজন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, আগামী ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ-এ বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)-এর উদ্যোগে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও পরিবেশ (এসডিজিই) বিষয়ক এই বিশেষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।

 

উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

 

তিনি জানান, আসন্ন এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে এসডিজি ও তার সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশের প্রাসঙ্গিকতা চিহ্নিত করা। এসডিজি-সংশ্লিষ্ট গবেষণা ও ব্যবহারিক কাজে যুক্ত দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও আন্দোলন কর্মীদের একত্র করা। বাংলাদেশের জন্য এসডিজি-সংশ্লিষ্টতাযুক্ত উপস্থাপনা ও আলোচনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সভার ব্যবস্থা করা। নীতিনির্ধারক, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পেশাজীবী সংগঠন, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, গণসংগঠন, যুব ও নারী সংগঠন ও আগ্রহী নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমবেত করা এবং বাংলাদেশে এসডিজির পরিবেশ-সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন।

 

তিনি আরো বলেন, এসডিজি অর্জনে যেহেতু পরিবেশ সংরক্ষণকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে, তাই এ বিষয়ে বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণবাদী আন্দোলনগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এসডিজির মধ্যে যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার মধ্যে ১১টিতেই টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। এই ১১টি লক্ষ্যমাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বর্পূর্ণ। এগুলোতে পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে আর সামনে রাখা হয়েছে টেকসই উন্নয়নের ত্রিমাত্রিক উপাদান যেমন : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ। যে ১১টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

তিনি বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে সাফল্যের একটি ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এই পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় আমাদের উচিৎ হবে এসডিজি অর্জনে আরো ভালো কাজ করা। এসডিজি বৃহত্তর পরিসরের সব মহলের অংশগ্রহণই ছিল মূল বৈশিষ্ট্য এবং এটিই হতে হবে এসডিজি অর্জনের মূল চাবিকাঠি। এসব প্রেক্ষাপটে বাপা-বেন এবারের সম্মেলনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আসন্ন এই সম্মেলনটি সফল করতে সংবাদ মাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

 

অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক বলেন, আসন্ন এই সম্মেলনটি সফল করতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদক, সাংবাদিক, কলাম লেখক, ফটো সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাপা ও বেন গত ১৬ বছর ধরে গণমাধ্যমের অকাতর সমর্থন পেয়ে আসছে। এই পেশার প্রতিটি মানুষ বাপা ও বেনের সর্বোত্তম বন্ধু ও একনিষ্ঠ সমর্থক।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ ডিসেম্বর ২০১৬/মিথুন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়