পাঠ্যবই মুদ্রণ : সমিতির ধর্মঘট অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : মুদ্রণশিল্প সমিতির ধর্মঘটের কারণে আজও বন্ধ আছে সব ধরনের পাঠ্যবই ছাপানো ও সরবরাহের কাজ। তবে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

এনসিটিবি মুদ্রণশিল্পের ওপর নতুন শর্ত আরোপ করেছে এ অভিযোগে সোমবার অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দেন এ শিল্পের নেতারা। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, তাদের শর্তগুলো শিথিল করতে বলা হয়েছে। পাঠ্যবই প্রস্তুতকারকদের সব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।  তাদের শর্ত শিথিল করতে বলা হয়েছে। তারা যদি  না আসে তবে তা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ হবে। কারণ নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, তাদের কাছে অনুরোধ করছি, তারা যেন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে যথারীতি নিয়মে কাজ চালিয়ে যায়। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।

এদিকে মুদ্রণশিল্প সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। আমরা পেটের জন্য কাজ করি। সুতরাং আমাদের দাবিগুলো আমাদের বেঁচে থাকার স্বার্থে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহের কোনো বিষয় জড়িত না। আমরা আশা করছি, এনসিটিবি আমাদের দাবি মেনে নেবে। আমরা কাজ শুরু করতেই চাই।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এবার বিনামূল্যে বই বিতরণের জন্য সরকার পাঁচটি টেন্ডারে ভাগ করে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ ২৬ হাজার ২০৭টি বই মুদ্রণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে নবম শ্রেণির ১২টি পাঠ্যবই ‘সুখপাঠ্যকরণ’ নাম দিয়ে সংশোধন করে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে।

এগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, অর্থনীতি, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, হিসাববিজ্ঞান। জানা গেছে, এসব বইয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭/ইয়ামিন/ইভা