ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘মানুষের ভেতর সুন্দর স্বপ্ন তৈরি করি’

সাইফ বরকতুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মানুষের ভেতর সুন্দর স্বপ্ন তৈরি করি’

দীপু মাহমুদ

দীপু মাহমুদ। নাটক, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ লেখেন তিনি। পাশাপাশি উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, ছোটগল্পসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি সক্রিয়। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা পঞ্চাশ। এর মধ্যে আছে উপন্যাস ফেরা হয় না, তবু ভালোবেসো এবং ফিরে এসো কমেলা।

ছোটগল্প সংকলন- উত্তরপুরুষ, মেঘ জড়ানো দিন ও তরব আলির চাদর। শিশুসাহিত্য- বুসেফেলাস, নিতুর ডায়েরি ১৯৭১, বারো ভূত, বাঘের মন খারাপ, নিতি মেঘ হবে, এক যে ছিল ছোট পাখি, নয় পরি, দুই জন্ম, মিরুর স্বপ্নখাতা, মাহিনের জুতো জামা, কিটি, রিকি, পুতলি ও ছেলেধরা, ছোটকু, রায়া ও ছোটকু।

এবার বইমেলায় তার বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে। এসব নিয়ে রাইজিংবিডির পক্ষ থেকে লেখকের সঙ্গে কথা বলেছেন সাইফ বরকতুল্লাহ


রাইজিংবিডি : এবার মেলায় আপনার কী কী বই আসছে?

দীপু মাহমুদ : উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সায়েন্স ফিকশন, কিশোর উপন্যাস, শিশুতোষ গল্প মিলিয়ে মোট ১৪টি বই প্রকাশিত হওয়ার কথা আছে।

রাইজিংবিডি : আপনার প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম কী? কত সালে প্রকাশিত হয়?

দীপু মাহমুদ : আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত বইয়ের নাম মেঘ জড়ানো দিন। এটি গল্প সংকলন। প্রকাশিত হয়েছিল একুশে বইমেলায় ২০০৮-এ। প্রকাশ করেছিল মম প্রকাশ।

রাইজিংবিডি : লেখালেখি কেন করেন?

দীপু মাহমুদ : আমার কিছু কথা আছে। সেই কথাগুলো বলতে চাই। কীভাবে বলব? আমি লিখি। লেখার ভেতর দিয়ে আমার কথা বলি। কী কথা? মানুষের ভেতর সুন্দর স্বপ্ন তৈরি করি। নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা বলি। মানুষের সম্মান আর মর্যাদার কথা বলি।

রাইজিংবিডি : লেখালেখির পেছনে কারো অনু্প্রেরণা আছে?

দীপু মাহমুদ : পরিবেশ কাজ করেছে। দাদাকে দেখতাম হাতের কাছে এক টুকরো কাগজ পেলে তাতে কবিতা লিখে ফেলতেন। বাবা, চাচা, ফুপুরা গুছিয়ে লেখেন। আমাদের বাড়িতে আমরা নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ করি। ৩৭ বছর ধরে চলে আসছে এটা। সেখানে আমরা পরিবারের সবাই লিখছি। প্রথমত পারিবারিক আবহের একটা অবদান আছে। আমি লিখে খসড়া কাগজ ফেলে দিলে মা সেটা তুলে রাখেন। বাবা নিয়মিত খোঁজ নেন আমি কী লিখছি। আমার লেখা জাতীয় পত্রিকাগুলো প্রকাশ করছে। আমি উৎসাহিত হচ্ছি। আমার লেখার পেছনে এইসব পত্রিকার অবদান আছে। আমার বন্ধুরা আমার লেখা পড়ে আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে। আমি যে বই পড়ি তাতে অনুপ্রাণিত হই লিখতে। আমার লেখালেখির পেছনে বইয়ের অবদান আছে।

রাইজিংবিডি : বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আপনার ভাবনা?

দীপু মাহমুদ : বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। গভীর সৃজনশীল ও মননশীল সাহিত্য রচনা হচ্ছে বাংলাদেশে।

রাইজিংবিডি : কী বিষয় নিয়ে লিখতে ভালো লাগে আপনার?

দীপু মাহমুদ : আমি গদ্য লেখক। গল্প-উপন্যাস লিখতে ভালো লাগে। শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প-উপন্যাস লিখে বেশি আনন্দ পাই।


রাইজিংবিডি : কেমন বইমেলা প্রত্যাশা করেন?

দীপু মাহমুদ  : বইমেলাতে আমরা পছন্দের বই খুঁজে পেতে চাই। বইমেলা এমন হওয়া দরকার যেন পাঠক সহজেই সবগুলো প্রকাশনীর স্টলে যেতে পারেন এবং তার পছন্দের বই খুঁজে নিতে পারেন। বইমেলার সাজসজ্জা, গোছানো অর্থাৎ ব্যবস্থাপনার দিকটা এখানে বিশেষ জরুরি। শিশুদের ব্যাপারটা খেয়াল রাখতে হবে। তাদের প্রয়োজনের ব্যাপারগুলো। অনেক মা আসেন দুগ্ধপোষ্য শিশু নিয়ে। সেই কথা মনে রাখতে হবে। মেলার মাঠে বসার ব্যবস্থা রাখা দরকার। অযাচিত ভিড় যেন মেলার উৎসবকে ম্লান করতে না পারে। এর আগে মেলার সময় বৃষ্টি হয়েছে। সেদিকটা মাথায় রাখতে হবে।

রাইজিংবিডি : বইমেলাকেন্দ্রিক বই প্রকাশনাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

দীপু মাহমুদ  : আমি মনে করি বই প্রকাশের ব্যাপারটা শুধু বইমেলাকেন্দ্রিক হওয়া উচিৎ নয়। আমরা সারা বছর লিখছি। সেই সমস্ত লেখা পত্রিকাতে প্রকাশিত হচ্ছে। বই বছরের যেকোনো সময় প্রকাশিত হতে পারে।

রাইজিংবিডি :  লেখক-প্রকাশকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

দীপু মাহমুদ : লেখক এবং প্রকাশকের সম্পর্ক হবে পেশাদার। লেখক বই লিখছেন, প্রকাশক সেই বই প্রকাশ করছেন। তাদের ভেতর চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হচ্ছে। তারা উভয়ে নিজেদের চুক্তির ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। কখনো যদি সেই চুক্তি মৌখিকও হয়।

রাইজিংবিডি : আপনাকে ধন্যবাদ

দীপু মাহমুদ  :  আপনাকে এবং রাইজিংবিডিকেও ধন্যবাদ




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়