ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিমান চলাচলে বাধা দিলে মৃত্যুদণ্ড

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিমান চলাচলে বাধা দিলে মৃত্যুদণ্ড

সচিবালয় প্রতিবেদক :  বিমান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল আইন-২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানসংবলিত এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ছাড়া এই আইনের খসড়া গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় নীতিগত ও পরে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের আইনি মত (ভেটিং) শেষে এটি জাতীয় সংসদে ওঠানোর আগে সর্বোচ্চ শাস্তির এই বিষয়টি সংযোজন করা হলো।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ব্যক্তি বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অনধিক পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা, এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

আইনের খসড়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি না থাকলেও নতুন করে বিষয়টি সংযোজিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ ছাড়া বিমান চলাচলে আলোক প্রক্ষেপণসহ কারিগরি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে বা বাধা দিলে অনধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তিনি বলেন, ১৯৬০ সালের ‘দ্য সিভিল এভিয়েশন অর্ডিন্যান্স’ হালনাগাদ করে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে সাজাও বাড়ানো হয়েছে এ খসড়ায়। ‘যদি কোনো ব্যক্তি এমন কোনো কাজ করেন, যাতে নির্বিঘ্নে বিমান পরিচালনায় অসুবিধার সৃষ্টি হয় এবং মানুষের জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, তবে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়া হতে পারে।’

বিমান চালানোর অনুমতির বিধান লঙ্ঘন বা সনদ জাল করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অবৈধভাবে বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের জন্য তিন থেকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ড্রোন ও গ্লাইডারসহ উড্ডয়নরত সব ধরনের যন্ত্রকে এই আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, বিমানের নেভিশগনের সঠিক আলো ও সংকেতের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে। কেউ বিমান ভ্রমণের সময় বিপদজনক পণ্য বহন করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে তার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় ৫৬ বছর পর বেসামরিক বিমান চলাচল আইন করতে যাচ্ছে সরকার। বিমানের বর্তমান অধ্যাদেশটিও ১৯৮৫ সালের। নতুন আইনে বিমানযাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) প্রযোজ্য নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/নঈমুদ্দীন/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়