ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সমকালীন গল্প সময়ের ক্যানভাসে আঁচড় রেখে যায়: মাসউদ আহমাদ

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সমকালীন গল্প সময়ের ক্যানভাসে আঁচড় রেখে যায়: মাসউদ আহমাদ

আরিফ সাওন : ‘সমকালীন গল্প এ রকম যে, গল্পকার এমন একটা বিষয় নিয়ে গল্প লিখছেন, হয়তো পরে তিনি আর গল্প লিখলেন না, কিংবা লিখে চলেছেন, যা-ই হোক না কেন, ওই গল্পটা সময়ের ক্যানভাসে আঁচড় রেখে যায়।’

বুধবার সন্ধ্যায় অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘সমকালীন সাহিত্য ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মাসউদ আহমাদ এ কথা বলেন। গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাইজিংবিডি স্টলে এ বৈঠকের আয়োজন করে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকম।

মাসউদ আহমাদ বলেন, ‘তরুণ গল্পকারদের মধ্যে যারা একটু আলাদা করে ভাবেন, পড়াশোনা করেন এবং সচেতন, তারা হয়তো একটি আলোচিত ঘটনা নিয়ে গল্প লেখেন। ১০ বছর পরে তার গল্পটা পড়ে ওই সময়টা বোঝা যায়। কিন্তু তরুণরা সাধারণত প্রেমের গল্প লিখতে চান বা এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখেন, ওই বছরটা শেষ হওয়ার পরে ওই গল্পটার আবেদন ফুরিয়ে গেল। কিন্তু সমকালীন গল্প এমন যে, সময়ের ক্যানভাসে আঁচড় রেখে যায়।’

দেশ পত্রিকায় তার প্রকাশিত গল্প নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘জীবনানন্দ দাস যখন বেঁচে ছিলেন, এখন যতটা জনপ্রিয় তখন তার একশ ভাগের একভাগও জনপ্রিয় ছিলেন না। উনি যে সৃষ্টিকর্ম রেখে গেছেন তা এখনও আামাদের ছুঁয়ে যাচ্ছে। আমি জীবনানন্দ দাসকে চরিত্র করে গল্পটা লিখতে চেয়েছি এমনভাবে যেন তিনি সমকালেও আছেন। অন্যের যেকোনো বিষয় সমকালে নিয়ে আসা যায়, গল্পকারের শক্তিমত্তা, ভাষাজ্ঞান, কব্জির জোর সব মিলিয়ে তিনি যেটা লেখেন, সমকালের একটা ক্যানভাস আছে সেখানে উনি আঁচড় রেখে যান। শুধু লেখার জন্য লেখা হলে, সেটা সমকালীন হলো না, লেখা হলো আর কি।’

 



মাসউদ বলেন, ‘বেশির ভাগ গল্পকার হচ্ছেন রিপোর্টারের মতো । রিপোর্টারের কাজ হচ্ছে যা দেখবেন, সেটাই তিনি লিখবেন। যা ঘটেনি, ঘটতে পারত, নানা কিছু সম্ভাবনা-আশঙ্কা রিপোর্টার ধরেন না, গল্পকার ধরেন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের প্রবাহে লেখা গল্পটা পড়লে মনে হবে, সময় কথা বলছে। যেমন ১৯৪৭- সালের দেশ ভাগের ঘটনা নিয়ে লেখা। সেই সময়টা আমরা দেখেনি, কিন্তু যখন পড়ি তখন সময়টা দেখতে পাই।’

‘নিজের গল্প সম্পর্কে মাসউদ বলেন, ছোট একটা ভাবনা চিন্তা থেকে গল্প তৈরি হয়। গল্প আমি কলমের ওপর ছেড়ে দেই। যেভাবে শুরু করি সব সময় পরিকল্পনা মতো শেষ হয় তা বলব না। শেষ সিদ্ধান্ত কমল থেকেও আসে।’

রাইজিংবিডির নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায়ের সভাপতিত্বে ও সাহিত্যিক মনি হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন এ সময়ের জনপ্রিয় ছয় লেখক। তারা হলেন- মাসউদ আহমাদ, মোজাফফর হোসেন, ম্যারিনা নাসরীন, মাহবুব ময়ূখ রিশাদ, এনামুল রেজা ও শাশ্বত নিপ্পন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাইজিংবিডির সহকারী বার্তা সম্পাদক রাসেল পারভেজ, রাইজিংবিডির সহসম্পাদক সাইফ বরকতুল্লাহ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাওন/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়