ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গ্রন্থমেলায় ২২১ নতুন বই

অহ নওরোজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রন্থমেলায় ২২১ নতুন বই

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ১৭তম দিনে শনিবার নতুন বই এসেছে ২২১টি। মেলায় আজ বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর।

নতুন বইয়ের মধ্যে- গল্পগ্রন্থ ৩৯টি, উপন্যাস ২৫টি, প্রবন্ধগ্রন্থ ১১টি, কাব্যগ্রন্থ ৮৩টি, গবেষণামূলক বই ৬টি, ছড়াগ্রন্থ ১০টি, শিশুসাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ ৬টি, জীবনীমূলক গ্রন্থ ৩টি।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ ২টি, বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ২টি, ভ্রমণকাহিনী   ৫টি, স্বাস্থ্যবিষয়ক গ্রন্থ ১টি, অনুবাদগ্রন্থ ২টি, অভিধান ১টি, সায়েন্স ফিকশন  ১টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে ২৪টি বই।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় “এ কে এম আহসান/খান শামসুর রহমান/মুজিবুল হক” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

তিনজন কৃতী মানুষকে নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এম মোকাম্মেল হক, এনামুল হক এবং অধ্যাপক আবদুল মমিন চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। নির্ধারিত প্রবন্ধকার মনজুরে মওলা শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

আলোচকবৃন্দ বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হক- এঁরা প্রশাসনিক কর্মদক্ষতায় রাষ্ট্রের গণমুখী অভিমুখ নির্মাণে ভূমিকা রেখেছেন। চিন্তা ও মননে লালিত প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের সমাজ ও মানুষের কল্যাণে দায়বদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাংলার মানুষের সংগ্রামী অভিযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থানে থেকে তাঁরা সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হক, প্রশাসনিক জগতের এই তিন বিশিষ্টজনই ছিলেন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং এই রাষ্ট্রের মানবমুখী বিকাশের ক্ষেত্রে এঁদের অবদান অসামান্য।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, এ কে এম আহসান, খান শামসুর রহমান এবং মুজিবুল হক- এঁদের কর্মক্ষেত্র ভিন্ন কিন্তু পান্ডিত্য, দেশপ্রেম এবং কর্তব্যনিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবাই অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। দেশে ও বিদেশে কর্মসূত্রে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যেমন পালন করেছেন তেমনি দেশের মুক্তি আন্দোলনে নানা অবদান রেখেছেন।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভাবনগর ফাউন্ডেশন’, ‘সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র’ এবং ‘নকশীকাঁথা’-এর শিল্পীবৃন্দ। 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অহ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়