ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

কালো বিড়াল কেন অশুভ?

এসএস জামিল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কালো বিড়াল কেন অশুভ?

এসএস জামিল : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পৌরাণিক কাহিনীতে কালো বিড়ালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই প্রাণীটিকে অশুভ বলেই বর্ণনা করা হয়েছে সেসব জায়গায়।

 

রূপকথার গল্প থেকে উপকথা, সবখানেই কার্যত ডাইনির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় কালো বিড়াল। কিন্তু কেন? নিরীহ এই প্রাণীটি আসলে কতটা অশুভ? 

 

জার্মানিতেও রাস্তার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে কালো বিড়ালের ছুটে যাওয়াকে অশুভ বলা হয়। পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এ জাতীয় বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। 

 

১৯ শতকের জলদস্যুরা বিশ্বাস করত, কোনো মানুষের কাছ থেকে কালো বিড়াল দূরে পালালে সেই ব্যক্তির জন্য তা অশুভ। জুয়াড়িরা তাদের গন্তব্যের পথে কালো বিড়াল দেখতে পেলে তাদের জন্য দুর্ভাগ্যের কারণ বলেও বিশ্বাস করেন। কেউ কেউ মনে করেন, কালো বিড়াল রাস্তা পার হলে ১০ পা পিছিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর আবার সামনে এগিয়ে যাওয়া ভালো।

 

৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মিশরীয়রা বিশ্বাস করত কালো বিড়ালের মধ্যে কিছু আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। তারা কালো বিড়ালকে পূজা করত। কালো বিড়ালকে আঘাত করা বা তাকে মেরে ফেলাকে অশুভ হিসেবে গণ্য করত মিশরীয়রা। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন এই বিশ্বাস ইউরোপে আসে তখন তার অর্থ বদলে যায়। আগেকার দিনে যখন গরুতে গাড়ি টানত তখন কালো বিড়াল রাস্তা পার করলে গরুদের মধ্যে একটা অস্থির ভাব লক্ষ্য করা যেত। সেই সময় গরুদের শান্ত করতেই কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হত। পরে সেই রেওয়াজ কুসংস্কারে পরিণত হয়। 

 

তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সমস্ত বিশ্বাসের বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। বাস্তবে এসব কল্প কাহিনীর কোনো প্রয়োগ নেই। তারা আরো বলছেন, মানুষের প্রচলিত এসব রূপকথা কেবল বইয়ে পড়তেই ভালো লাগে। কোনো কোনো প্রাণী আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আভাস পেয়ে থাকে- এমনটা জীববিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন। কিন্তু ব্যক্তি বিশেষের দুর্ভাগ্যের সঙ্গে বিড়াল বা অন্য কোনো প্রাণীর কোনো যোগ রয়েছে এসব কেবলই গাল গল্প।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ ডিসেম্বর ২০১৬/ইভা/এসএন  

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়