ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যে ১৭ স্থান কখনোই দেখা হবে না!

নাবিহা আক্তার রাদিতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪৬, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে ১৭ স্থান কখনোই দেখা হবে না!

মেট্রো-২ (প্রতীকী ছবি)

নাবিহা আক্তার রাদিতা : পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান রয়েছে যা দেখার মতো, অনেক স্মৃতি তৈরি করার মতো এবং আমাদের জীবনকাল এমন অনেক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অপেক্ষা করছে।

পাহাড়, পর্বত, উপত্যকা, বনজঙ্গল, তৃণভূমি, মরুভূমি- পৃথিবীর এ ধরনের নানা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুদ্ধ করার মতো।

কিন্তু আপনার কেমন লাগবে যখন আপনি কিছু আশ্চর্যজনক এবং চমৎকার স্থান দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন? অথচ দুঃখজনক হলেও এটা আপনাকে মেনে নিতে হবে। কারণ পৃথিবীর এমন অনেক অত্যাশ্চর্য স্থান রয়েছে, যেখানে সর্ব সাধারণের যাওয়ার কোনো অনুমতি নেই।

এ ধরনের ১৭টি অত্যাশ্চর্য স্থান নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ শেষ পর্বে থাকছে ৯টি স্থান, যেগুলো জেনে আপনি যথেষ্ট অবাক হবেন এবং যতই আগ্রহী হোন না কেন, এসব জায়গায় প্রবেশের সুযোগ মিলবে না।


কিন শি হুয়াং এর সমাধি, চীন

চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াংয়ের রহস্যময় সমাধিস্থান চীন সরকার জনসাধারণেরর জন্য বন্ধ রেখেছেন। ২১০ খ্রিস্টপূর্বে মৃত্যুবরণকারী কিং শি হুয়াংয়ের সমাধি মধ্য চীনের একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত। পাহাড়ের গভীরে বিষাক্ত পারদের পরিখাঘেরা এক সমাধি। এবং এটি টেরাকোটা ভাস্কর্য দ্বারা পরিবেষ্টিত।


মেট্রো-২, রাশিয়া

ধারণা করা হয়, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে একটা গোপন ভুগর্ভস্থ মেট্রো সিস্টেম আছে, যা মেট্রো-২ নামে পরিচিত। সাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত মস্কো মেট্রোর পাশাপাশি গোপনে এটি পরিচালনা করা হয়। মনে করা হয় এটা স্টালিন এর সময়ে তৈরি করা হয়েছিল, কেজিবির প্রজেক্ট ছিল এটা যার কোডনেম ডি-৬। গুজব রয়েছে মেট্রো-২ পাবলিক মেট্রো থেকে দৈর্ঘ্যে অনেক বড় এবং চলাচল করে মাটির ৫০ এবং ২০০ মিটার নিচ দিয়ে। ধারণা করা হয় এতে ৪টি লাইন রয়েছে, যা ক্রেমলিনের সঙ্গে এফএসবির (আগে ছিল কেজিবি) প্রধান কার্যালয়ের সংযোগ স্থাপন করেছে। যেহেতু এর অস্তিত্ব সম্পর্কে কেউ এখনো সঠিক খবর দিতে পারে না আর তাই সেখানে যাওয়ার আশাও করা যায় না।


সার্টসি, আইসল্যান্ড

১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত আগ্নেয়গিরির বড় অগ্নুৎপাতের কারণে এই স্থানটি সর্বসাধারণের বন্ধ রয়েছে। আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত এই দ্বীপটিতে শুধু বিজ্ঞানীদের যাওয়ার অনুমতি রয়েছে।
 

নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ

এসব দ্বীপে উদ্ভিদ ও সামুদ্রিক প্রাণীর এমন সব প্রজাতি রয়েছে, যারা বাইরের হস্তক্ষেপ থেকে নিজেদের আলাদা করে রেখেছে। ইউনেস্কো এই দ্বীপপুঞ্জকে বিশ্ব নেটওয়ার্কের জীবমন্ডল ভাণ্ডারের একটি অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। যদিও শুধুমাত্র গবেষণাকারী এবং বিজ্ঞানীরাই এখানে প্রবেশের অনুমতি পায়।
 

মোগাদিসু সৈকত, সোমালিয়া

আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতিতে রয়েছে এই স্থান। সন্ত্রাসবাদের শিকার হওয়া কিংবা অপহরণের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমাদের ক্ষেত্রে। এই সৈকতটি সোমালিয়ার পশ্চিম উপকূলে প্রসারিত লাভ করেছে, সঙ্গে ভারত মহাসাগর থাকায় এটি অবিশ্বাস্য সুন্দর এলাকা। প্রবাল দ্বীপের চারপাশ মাছ দ্বারা পূর্ণ এবং সৈকতে রয়েছে আদিম সোনালি বালি।
 

বোভেট দ্বীপ, নরওয়ে

কঠোর ভূখন্ড এবং আবহাওয়ার কারণে সকলের কাছে এটি জনমানবশূন্য দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। এই দ্বীপের ৯৩ শতাংশ বরফে ঢাকা। বোভেট দ্বীপে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন ব্যাপার। দ্বীপটি দক্ষিণ আটলান্টিকের মাঝখানে অবস্থিত। এ যাবৎকালে সন্ধান পাওয়া দ্বীপের মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম বলে অভিহিত করা হয় দ্বীপটিকে। এখানে একটি নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা বরফ দ্বারা পরিপূর্ণ।
 

অ্যালবাট্রস দ্বীপ, তাসমানিয়া

এখানে অনেক প্রজাতির পাখির আবাসস্থল রয়েছে। এর মধ্যে অ্যালবাট্রস পাখি অন্যতম। কিন্তু দর্শনাথীদের এখানে প্রবেশ নিষেধ কারণ এটি হচ্ছে প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য। যদি এই দ্বীপে পরিদর্শন করতে দেয়া হতো, তাহলে সকল পাখিপ্রেমীর স্বপ্নপূরণ হতো। এখানকার পাখিদের মধ্যে মূল আকর্ষণ হচ্ছে, অ্যালবাট্রস পাখি। পাখি রক্ষা করতেই এখানে মানুষের বিচরণ নিষিদ্ধ। পাখি ছাড়াও ছোট পেঙ্গুইন এবং পশম সিল রয়েছে।
 

হোয়াইট জেন্টলম্যানস ক্লাব, লন্ডন

এই ক্লাবের সদস্য হতে হলে রাজকীয় পরিবারের সদস্য, প্রতিপত্তিশীল ও ধনসম্পদের অধিকারী এবং পুরুষ হতে হয়। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে অভিজাত ক্লাব এবং টাকা থাকলেও সহজে সদস্য হওয়ার সুযোগ নেই। ক্লাবের বর্তমান সদস্যের মধ্যে রয়েছে প্রিন্স উইলিয়াম, তার বাবা প্রিন্স চার্লস এবং প্রাক্তন সদস্যের মধ্যে রয়েছে ড্যাভিড ক্যামেরন।
 

নিহাউ, হাওয়াই

গাছপালা বেষ্টিত হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের একটি অতি ক্ষুদ্র দ্বীপ হচ্ছে নিহাউ। এলিজাবেথ সিনক্লেয়ার ১৮৬২ সালে এটি ক্রয় করেন এবং শুধুমাত্র তার আত্মীয়স্বজন এবং সরকারি কর্মকর্তার জন্য এটি উন্মুক্ত রেখেছেন। ১৮০ বর্গকিলোমিটারের এ দ্বীপটিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। দ্বীপটিতে কিছু বিরল এবং বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী সহ ১৩০ জনের মতো আদিবাসী স্বাধীনভাবে বাস করে। এদের বাহন ঘোড়া আর সাইকেল। দ্বীপটিকে কোনো টেলিফোন সার্ভিস নেই।

 

পড়ুন :

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জানুয়ারি ২০১৭/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়