ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধে আইন হচ্ছে

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১৯ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধে আইন হচ্ছে

সংসদ প্রতিবেদক : ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধের লক্ষ্যে কঠোর শাস্তির বিধান করে বিদ্যমান আইনের সংশোধন করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত এ আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, দেশে লাইসেন্সবিহীন ও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গকারী ফার্মেসি এবং নকল, ভেজাল, মিসব্রান্ডেড, মেয়াদোত্তীর্ণ, আন-রেজিস্টার্ড ও অবৈধ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিত ওষুধের নকল বা ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।

তিনি জানান, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে লাইসেন্সবিহীন ও লাইসেন্সে শর্ত ভঙ্গকারী ফার্মেসি এবং নকল, ভেজাল ও অবৈধ ওষুধ প্রস্তুতকারী, বিক্রয়কারী ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকার জেলা প্রশাসককে সভাপতি ও ওষুধ তত্ত্বাবধায়ককে সদস্যসচিব করে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি বা সেক্রেটারির সমন্বয়ে সব জেলার জন্য কার্যকরী ‘জেলা ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধসংক্রান্ত অ্যাকশন কমিটি’ গঠন করেছে।

নাসিম বলেন, ওই কমিটি ওষুধের অনিয়মসংক্রান্ত সব বিষয়ে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’

ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জনবল বৃদ্ধির ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও মন্ত্রী সংসদে জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ভেজাল, নকল ও মানহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধে দেশের বিভাগীয় শহরসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল ফার্মেসি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং সরকার ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে ১৭৫টি ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসি হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।

নাসিম বলেন, মডেল ফার্মেসি থেকে জনগণ মানসম্মত ওষুধ কেনার পাশাপাশি ওষুধের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবে। দেশব্যাপী মডেল ফার্মেসি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তায় ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, নকল ওষুধ চিহ্নিতকরণ এবং ওষুধের নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয়ের বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক রিপোর্টিংয়ের জন্য ওয়েব পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন শীর্ষক একটি প্রকল্পের কার্যক্রম বর্তমানে পাইলটিং পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে জনগণ ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবে, ওষুধের নির্ধারিত মূল্য যাচাই করা সম্ভব হবে, দেশে যেকোনো এলাকায় প্রাপ্ত ভেজাল ও নকল ওষুধ সম্পর্কে স্বল্প সময়ে নিশ্চিত হতে পারবে এবং ওষুধসংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ দ্রুত দাখিল করতে পারবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুন ২০১৭/হাসান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়