শ্যালিকাকে হত্যার পর দুলাভাইয়ের আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশালে শ্যালিকাকে হত্যা ও স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করার পর মো. সজিব নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর কাউনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সজিবের স্ত্রী সুমাইয়াকে (১৮) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সজিব পেশায় ভ্যানচালক এবং সুমাইয়া কাউনিয়ার একটি টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক।

সজিবের শাশুড়ি পারুল বেগম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে সুমাইয়া ও শ্যালিকা সাদিয়াকে (৭) নিয়ে বাসার পাশে বাগানে যায় সজিব। গভীর রাত পর্যন্ত তারা বাসায় ফিরে না এলে তাদের খুঁজতে বের হই। গিয়ে দেখি সাদিয়ার লাশ পুকুর ভাসমান আর পুকুর পাড়ে একটি গাছে ঝুলছে সজিবের লাশ। এ সময় সুমাইয়াকে পুকুর পাড় থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’

হাসপাতালে সুমাইয়া বলেন, ‘সজিব আমাকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে পারিবারিক বিষয়ে কথা বলে। ছোট বোন সাদিয়াও আমাদের সাথে ছিলো। এক পর্যায়ে সজিব আমাকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় সাদিয়া বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে সজিব গাছের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।’

বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে কয়েক দিন আগে উজিরপুরের শ্বশুর বাড়ি থেকে কাউনিয়ায় বাবার বাড়ি চলে আসে সুমাইয়া। তাকে ফিরিয়ে নিতে সুমাইয়াদের বাড়িতে আসে সজিব। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে সুমাইয়া ও ৭ বছর বয়সী শ্যালিকা সাদিয়াকে নিয়ে ঘরের বাইরে যায় সজিব। তাদেরকে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে সুমাইয়াকে কুপিয়ে জখম করে। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে ভেবে শ্যালিকা সাদিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে পুকুর পাড়ে একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সজিব।




রাইজিংবিডি/বরিশাল/২৮ জুলাই ২০১৭/জে.খান স্বপন/উজ্জল/শাহনেওয়াজ