ছিঃ ছিঃ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিছানা ছেড়ে দুপা এগোনোর ক্ষমতা নেই তার। বয়স ১০০ বছর। এই বয়সে ধর্ষণের শিকার হলেন তিনি। কয়েক ঘণ্টা পর মারাও গেলেন। এ নিয়ে চারদিকে ছিঃ ছিঃ পড়ে গেছে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাট জেলায় শয্যাশায়ী শতবর্ষী এই নারী ৩৫ বছরের এক পুরুষের পৈশাচিকতার শিকার হয়ে মারা গেলেন। এ ঘটনা নিয়ে দেশটিতে একদিকে শোক, অন্যদিকে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
মিরাট জেলার অদূরে এক গ্রামে রোববার মধ্যরাতে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষকের নাম অঙ্কিত পুনিয়া। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে স্থানীয় একটি আদালতে তোলা হয় এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লোকটিকে ‘নরপিশাচ’ অভিহিত করেছে এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
শতবর্ষী এই নারী মিরাট জেলার প্রবীণতম মানুষের মধ্যে একজন। তার পরিবার জানিয়েছে, তিনি এতটাই দুর্বল যে, অঘটনের সময় সাহায্য চাওয়ার মতো ক্ষমতাও ছিল না তার।
ওই নারীর ৪০ বছর বয়সি নাতি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তিনি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার সময় তিনি শুধু গুঙরে কাঁদছিলেন। গুঙানি শুনে আমরা তার কাছে ছুটে যাই। দেখি, লোকটি তার ওপর বিভৎসভাবে জোর জবরদস্তি করছে।’
বয়সের ভারে এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন শতবর্ষী এই নারী। নারকীয় এই কাণ্ডের পর তাকে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিরাটের জানি পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা পিসি শর্মা বলেন, ‘ধর্ষক পুনিয়ার বিরুদ্ধে অপকর্মের উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ, ধর্ষণ ও খুনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া দলিত সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অনাচারেরও অভিযোগ আনা হয়েছে, কারণ ওই নারীও দলিত ছিলেন।’
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ অক্টোবর ২০১৭/রাসেল পারভেজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন