ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিজয় উদযাপিত, সাতচল্লিশে পা দিল বাংলাদেশ

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিজয় উদযাপিত, সাতচল্লিশে পা দিল বাংলাদেশ

হাসান মাহামুদ : সবে শুরু পৌষ। শীতের কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস রাজধানীসহ সারা দেশে। এসব উপেক্ষা করেই সাতসকালে সর্বস্তরের মানুষ সাভারে স্মৃতিসৌধের বাইরে ও আশপাশের মহাসড়ক এলাকা এবং ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে সমবেত হতে থাকে। এ যেন বিজয়কে আরেকবার কাছ থেকে দেখার অভিপ্রায়, দেশমাতৃকার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়া মহান মানুষগুলোকে হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা জানানোর আকাঙ্ক্ষা।

বিনম্র শ্রদ্ধাবনত চিত্তে সমগ্র জাতি ৩০ লাখ শহীদকে আরো একবার জানিয়ে দিল, ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’।

নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের আজকের দিনে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। সেই বিজয়ের ৪৬তম বার্ষিকী আজ শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে উদযাপন করেছে সমগ্র জাতি। এরই মাধ্যমে ৪৭তম বছরে পা দিল স্বাধীন বাংলাদেশ। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জীবিত জাতি দিবসটি উদযাপন করেছে অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে।

এবার বিজয় দিবসের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার চেয়ে প্রতিবছর যে শপথ নেওয়া হয়, শ্লোগান হয়- এবার তা হতে হয়নি। কারণ, বাংলার বুকে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে, প্রক্রিয়াধীন আছে অনেকের বিচার প্রক্রিয়া। তবে এবারও শপথ হয়েছে, তা হচ্ছে- আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ। আগামী দিনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাকে আরো ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার শপথ। 

এর সাথে বাড়তি আয়োজন ও উপলক্ষ হিসেবে যোগ হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে যুক্ত হওয়া।

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধস্থল ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দিলে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিজয় উল্লাসে শনিবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বর মুখর ছিল বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদচারণায়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ধ্বংসাত্মক, নৈরাজ্যকর কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে নানা স্লোগান, দেশাত্মবোধক গান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বেজে চলছিল বিরামহীনভাবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতার এই ঢল অব্যাহত থাকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিন্থ ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দলীয় নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ড এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ফোরাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

বিকেলে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে মহান বিজয় দিবসে রাজধানীতে বড় শোভাযাত্রা বের করে আওয়ামী লীগ।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনস্থ এই দীর্ঘ সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক জুড়েই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালিতে মানুষের ঢল নামে।

এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে রাজারবাগ স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর পুলিশ সদস্যদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্জ্জুামান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আছাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিউগলে বাজানো হয় জাতীয় সংগীত। এ সময় ডিএমপির একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে শহীদদের সম্মান জানায়।

দিবসটি উপলক্ষে সকল সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রঙ-বেরঙের পতাকায় সাজানো হয়।

শহীদদের আত্মার শান্তি, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মের উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোয় উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয়।

বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম দেশের ৪৭তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ লনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীগণ, সংসদ সদস্যগণ, তিন বাহিনীর প্রধান, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

এছাড়া শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩ জন সদস্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তারা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

দেশের প্রখ্যাত শিল্পী রফিকুল ইসলাম, আবিদা সুলতানা ও হায়দার হোসেন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন এবং শিশু ও একটি আর্মি ব্যান্ড অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার : যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাতে প্রধানমন্ত্রী এবারও নগরীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে অবস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফুল, ফল এবং মিষ্টি পাঠিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) সাইফুজ্জামান শিখর এবং সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস বিকেলে এসব উপহার সামগ্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করেন।

স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পয়লা বৈশাখের মতো প্রতিটি জাতীয় দিবসে তাদের স্মরণ রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তারা মোহাম্মদপুরে ১৩তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ তাদের পুনর্বাসনে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ৮০টি পরিবারের জন্য মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এ আবাসিক ফ্ল্যাট এবং দোকান রয়েছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৪৭তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড এবং ডাক বিভাগের ইস্যুকৃত একটি স্মারকগ্রন্থ অবমুক্ত করেন।

সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এই ডাকটিকিট, খাম ও স্মারকগ্রন্থ অবমুক্ত করা হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার ও ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল।

আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা রোববার : আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামীকাল রোববার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়