ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

আগামী দুই মাসে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান অগ্রগতি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ৮ জানুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আগামী দুই মাসে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান অগ্রগতি

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী দুই মাসের মধ্যে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আগের থেকে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী, কারণ বর্তমান সরকারের ম্যান্ডেট ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান। আমরা প্রত্যাশা করি সরকার আমাদেরকে সকল প্রকার সহযোগিতা করবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব। দলমত নির্বিশেষে কারো দিকে না তাকিয়ে কাজ করব। আমরা কারো দিকে তাকাব না।

তিনি বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা বাণিজ্যসহ সমস্ত জায়গায় যেসব দুর্নীতি-অনিয়ম রয়েছে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করব এবং তবে দমনেরও চেষ্টা করব আমরা। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। কোনো বাধাই মানব না।

নির্বাচনের আগে হলফনামা নিয়ে দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা প্রার্থীদের হলফনামা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছি। এটা নিয়ে কাজ করছি। কালো টাকার সন্ধান পাওয়া গেলে তাদেরকে আমরা ছাড়ব না। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারাই দেশ চালাবে। তাই আমরা প্রত্যেকটা হলফনামা পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে দেখব।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়া কঠিন। সাবেক বা বর্তমান বলে কোনো কথা নেই। দুর্নীতিবাজ হিসেবে খ্যাত, দুর্নীতির গন্ধ যেখানে আছে আমরা সেখানে থাকব। আপনারা যদি প্রশ্ন করেন সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সরকারের অমুক, নো উই উইল নট ডিফারেন্ট ফর এ্যানিবডি। আমরা সবাইকে একই পাল্লায় মাপতে চাই।’

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যে অঙ্গীকার, সরকারের পুর্ণসমর্থন নিয়ে আইন অনুযায়ী কাজ করবো। দুর্নীতি যিনিই করেছেন বা করবেন আমরা তাদেরকে ধরে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেব।’

সদ্য বিদায়ী কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে দুদকের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ যদি থেকে থাকে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করব, আমরা দৃশ্যমান কিছু করব। আপনারও অভিযোগ দিতে পারেন। কথা এইটুকুই বলতে পারি যে, আপনারা এক মাস দুই মাসের মধ্যে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাবেন। এটা আমার ডিউটি।’

দুই মাস কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে কৌশলগত কারণে আমরা খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। ওই কাজটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্যই দুই মাসের কথা বলেছি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুধু বেসিক ব্যাংকই নয়, অন্যান্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে পাবেন। আর্থিক খাতসহ সব খাতের দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স। তবে কতগুলো বিষয় আমাদের প্রধান ফোকাস থাকবে। আর্থিক দুর্নীতি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আমাদের পরিপূর্ণ শক্তি দিয়ে আর্থিক দুর্নীতি বন্ধ করার চেষ্টা করব।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ জানুয়ারি ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়