ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আজব সব শিশু (পর্ব-১)

বয়স ১১, ওজন ৪২৩ পাউন্ড

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বয়স ১১, ওজন ৪২৩ পাউন্ড

আহমেদ শরীফ : বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এখন শিশুদের শৈশব কাটে নিরাপত্তাহীনতায়, অনিশ্চয়তায়।

তবে এমন কিছু শিশু আছে যারা জন্মগতভাবেই শারীরিক বা মানসিক ত্রুটি নিয়ে জন্মেছে। এরপরও তারা পৃথিবীর আলো, বাতাস, পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো শিশু বড়দের চেয়েও তুলনামূলক বেশি শারীরিক ও মানসিক শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠছে। সেসব শিশু নিয়ে এই আয়োজন।

আরিয়া পারমানা : বিশ্বের সবচেয়ে মোটা শিশু ইন্দোনেশিয়ার ১১ বছরের আরিয়া পারমানা। সে এতোই মোটা যে কোনো পোশাকই তার ঠিক মতো  গায়ে লাগে না। এই শিশুর ওজন ৪২৩ পাউন্ড। সে সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে বলেই জানিয়েছে তার পরিবার ও ডাক্তার। দিনে ৫ বার খায় সে। এরপরও ক্ষুধার্ত থাকে আরিয়ানা। প্রতিবার দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সমান খায় সে।

গ্যাবি উইলিয়ামস : ৯ বছর বয়সী একটি শিশুর ওজন যদি হয় ১১ পাউন্ড, তাহলে তা খুবই অস্বাভাবিক, তাই না? বিরল এক কারণে খুব ধীর গতিতে বেড়ে উঠছে আমেরিকায় জন্ম নেওয়া গ্যাবি উইলিয়ামস। ডাক্তাররা বলেছেন, মানুষ অমরত্ব পেলে কেমন হবে, তার একটা উদাহরণ এই শিশু। সে এতোই ধীর গতিতে বড় হচ্ছে যে, ৯ বছর বয়সেও তার পরিবারের লোকেরা তাকে নবজাতকের মতো যত্ম নিচ্ছে। প্রতি ৪ বছরে ১ বছরের সামন হারে বেড়ে উঠছে এই শিশু।

সুপাতরা সাসুপান : তাকে বলা হয় ‘উলফ চাইল্ড’। গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাকে  বিশ্বের সবচেয়ে লোমশ মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্যরা তার মতো এমন মুখ ভর্তি লোম নিয়ে নিজেকে কখনো কল্পনা না করলেও, সুপাতরা কিন্তু তার এই অদ্ভুত চেহারা নিয়ে চিন্তিত না। বরং সে স্কুলে সবার আলোচনার বিষয়। আমব্রাস সিনড্রোমের কারণে তার মুখ ও পায়ে বিশাল লোমে ভরে গেছে।

ফু ওয়েং ওয়ে : চীনের বেইজিংয়ে জন্ম নেওয়া শিশু ফু ওয়েং ওয়ের গলা অস্বাভাবিক লম্বা। তার ঘাড়ে তিনটি বেশি ভার্টিব্রা আছে ও জন্মগত রোগ কনজেনিটাল স্কলিওসিস আছে। ২০১৪ সালে ১৫ বছরের ফু এর ঘাড়ে অপারেশন করা হয়, এতে সে এখন অনেকটা সুস্থ হয়ে হাঁটাচলা করতে পারে।

মাহিন্দ্রা আহিরওয়ার : ভারতে জন্ম নেওয়া এই ১৪ বছরের শিশুটির ঘাড়ে মাংসপেশী না থাকায় তার ঘাড় ১৮০ ডিগ্রি হেলে থাকতো। ভারতের অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও তার পরিবার কোনো চিকিৎসা পায়নি। পরে জুলি জোন্স নামে এক বৃটিশ নারী তার পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি সবার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে তার ঘাড়ে সার্জারি করিয়েছেন। এখন অনেকটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে এই শিশুটি।

ক্রিস্টিনা পিমেনোভা : মাত্র ১১ বছর বয়সে রাশিয়ার ক্রিস্টিনা পিমেনোভা হয়ে উঠেছে সুপার মডেল। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের খেতাবও দেওয়া হয় তাকে। একটা পূর্ণ বয়সী নারীর মতোই তার চেহারা, আচরণ। ইন্সটাগ্রামে তাই তার অনেক ফলোয়ার। ছোট বেলাতেই বাবা মায়ের সৌন্দর্য পুরোপুরি পেয়েছেন ক্রিস্টিনা। তবে তাকে অল্প বয়সেই পূর্ণ বয়সী নারীর মতো সাজতে বাধ্য করায় তার মাকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় মাঝে মধ্যে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ এপ্রিল ২০১৭/আহমেদ শরীফ/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়