ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পিয়ানোতে লুকানো ছিল কয়েকশ সোনার মোহর!

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পিয়ানোতে লুকানো ছিল কয়েকশ সোনার মোহর!

আহমেদ শরীফ : গুপ্তধন খুঁজে বেড়ানোর আকাঙ্খা অনেকের মধ্যেই আছে। পাহাড়ে, জঙ্গলে বা সাগর তলে গিয়ে গুপ্তধন খোঁজার ঘটনা আমরা গল্প বা ছবিতেই দেখতে পাই। তবে ধরুন আপনার ঘরের একটি কোণায় কোনো আসবাবপত্র থেকে হঠাৎ যদি  এক গাদা সোনার মোহর পেয়ে যান, কেমন লাগবে?

অনেকটা এমন ঘটনাই ঘটেছে বৃটেনের শ্রোপশায়ার এলাকার একটি স্কুলে। একটি পুরানো পিয়ানোর কীবোর্ডের নিচে লুকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে ৯১৩টি সোনার মোহর! যেগুলোর বর্তমান মূল্য কয়েক লাখ পাউন্ড।

বৃটিশ মিউজিয়ামের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ওই মোহরগুলো ১৮৪৭ সাল থেকে ১৯১৫ সালের।  হাতে সেলাই করা কয়েকটি ব্যাগে লুকানো মোহরগুলোর সে সময়ের মূল্য ছিলো ৭৭৩ পাউন্ড। বেশিরভাগ মোহরই রাণী ভিক্টোরিয়ার আমলের। আর সেগুলো ৯১.৭ শতাংশ খাঁটি সোনার তৈরি।

তদন্ত কর্মকর্তা জন অ্যালেরি এগুলোকে গুপ্তধন উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না, এগুলো এতোদিন এখানে কীভাবে লুকানো ছিল।’

 


প্রায় ছয় কেজি ওজনের এই গুপ্তধন ওই পিয়ানোতে কারা লুকিয়েছিলো সে বিষয়ে তদন্ত করে এখনো কিছু জানা যায়নি। পিয়ানোটি অ্যাসেক্সের গ্রাহাম ও ম্যাগ হেমিংগস দম্পতির ছিলো। তারা ২০১৫ সালে পিয়ানোটি বিশপস ক্যাসেল কমিউনিটি কলেজে দান করে দিয়েছিলেন। এর আগে ৩৩ বছর ধরে তাদের কাছেই ছিলো ওই পিয়ানোটি। তবে তাতে যে গুপ্তধন লুকানো ছিলো তারা তা জানতেই পারেননি।

মার্টিন ব্যাকহাউস নামের এক টিউনিং টেকনিশিয়ান প্রথম এই গুপ্তধনের সন্ধান পান। পিয়ানোটি বেশ ভারী মনে হওয়ায় এর কীবোর্ড পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েই পান সোনার মোহরগুলো। এদিকে পিয়ানোটি দান করে কোনো অনুশোচনায় ভুগছেন না গ্রাহাম ও হেমিংগস।

আর বৃটিশ মিউজিয়ামের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন একটি ব্যাগে গমের বিজ্ঞাপণসহ একটি কার্ড দেখে মনে হচ্ছে সোনার মোহরগুলো ১৯৩০ এর দশকে বিশ্বজুড়ে গ্রেট ডিপ্রেশন নামে যে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছিলো, সে সময় মোহরগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছে। বিষয় যা ই হোক, আপনার বাসায় পুরনো কোনো আসবাবপত্র থাকলে তা একবার পর্যবেষক্ষণ করতে ভুলবেন না। তাতে পাইলেও পাইতে পারেন মানিক রতন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৭/এএস/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়