ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সাহিত্যঙ্গনে উৎসবের আমেজ

সাইফ বরকতুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৪, ২৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাহিত্যঙ্গনে উৎসবের আমেজ

অগ্রহায়ণ মাস। চারদিকে চলছে নবান্ন উৎসব। হালকা শীতের পরশ বয়ে যাচ্ছে। আর সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসব। এ উৎসব মানেই দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী ধানক্ষেত। এ উৎসব মানেই কৃষকের হাসি, কৃষাণির উচ্ছ্বাস। ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির আয়োজন। নবান্ন আয়োজনের সঙ্গে এবার ঢাকার সাহিত্যঙ্গনে যেন উৎসবের আমেজ বইছে। নভেম্বর মাস জুড়েই চলছে সাহিত্য নিয়ে নানা অনুষ্ঠান। এসব অনুষ্ঠানের খোঁজখবর নিয়ে রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য এ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সাইফ বরকতুল্লাহ ।

অনির্ণীত হুমায়ূন : গত ১৩ নভেম্বর ছিল নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। এ উপলক্ষে ক্রিয়েটিভ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ সংকলন ‘অনির্ণীত হুমায়ূন’। এই সংকলনে ১০ জন লেখক হুমায়ূন সাহিত্যের নানাদিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটির প্রকাশক আবিদ এ আজাদ। আর সম্পাদনা করেছেন মুম রহমান। যারা লিখেছেন তারা হলেন- রুমা মোদক, সামিয়া কালাম, মোজাফ্ফর হোসেন, হামীম কামরুল হক, সৈয়দ সাঈদ, তানভীর আহমেদ সিডনী, স্নিগ্ধা বাউল, সানজিদা হক মিশু, কৃপা নাহার। সংকলনের প্রকাশনা উপলক্ষে দীপনপুরে জমজমাট আড্ডার আয়োজন করা হয়। সংকলনের সঙ্গে একটি বিশেষ ডায়রিও প্রকাশ করা হয়।

সার্বিক সুন্দর এই আড্ডায় হিমু সেজে আসা লেখক শাকুর মজিদ কিছু অপ্রিয় কথা বলেন। হুমায়ুন জীবিত থাকতেও তার সামনাসামনি বলেছেন অনেকবার। তিনি বলেন, ‘যে হুমায়ূনের মধ্যে লেখক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু বাজারি প্রকাশকদের চাহিদায় তিনি তা হতে পারেননি। বড় ফ্ল্যাট, বাগান বাড়ি এসবের লোভে তিনি লেখকসত্তাকে বিসর্জন দিয়েছেন। হিমুর মতো লেখা তিনি জনপ্রিয়তার কারণে লিখেছেন। আশির দশকের পরে তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেখা লেখেননি।’

বক্তব্যের শেষে অশ্রুসজল চোখে হুমায়ূন স্যারের ছবির দিকে তাকিয়ে বলেছেন, ‘স্যার তবুও আপনাকে ভালোবাসি’। এ সময় মুম রহমান বলেন, ‘আমি তার (শাকুর মাজদ) বক্তব্যে অনুপ্রাণিত। কেননা, ভালো হোক মন্দ হোক হুমায়ূনের লেখা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হোক, আলোচনা হোক এটা প্রত্যাশা করি বরাবর। তাতে লেখককে নির্ণীত করার সুযোগ হয়।’

ড. আহমেদ রেজা বলেন, ‘জনপ্রিয় হলেই খারাপ লেখক আর নিভৃতচারি কিংবা অচেনা হলেই ভালো লেখক হবে এমন কোনো কথা নেই। তার আলোচনার সূত্র ধরেই বলা যায়, রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দের মতো হুমায়ূন সাহিত্য নিয়েও আলোচনার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। হুমায়ূন গবেষণার লক্ষ্যে প্রতি বছর অন্তত দুটি করে এমন জার্নালধর্মী বই আমরা করবো। আগামীতে হুমায়ূন ভক্তদের জন্য আরো সুখবর আছে। গত চার বছর ধরে আমি ‘হুমায়ূন নামা’ নিয়ে যে কাজ করছিলাম তা প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশা করছি শিঘ্রই দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থা থেকে তা প্রকাশিত হবে।’ ঘরোয়া এ আড্ডায় উপস্থিত লেখক ও পাঠকরা একত্র হয়ে সংকলনের প্রকাশনা উদযাপন করেন। দীপনপুরে জমজমাট আড্ডা শেষে ভূত রেস্তোরাঁয় লেখক ও অতিথিরা ডিনার ও লেটনাইটে মেতে ওঠেন।

শেষ হলো ঢাকা লিট ফেস্ট : শেষ হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্ট এর সপ্তম আসর।  বাংলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী এ আসরে বিশ্বসাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিল্পের নানা ক্ষেত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ৯০টি সেশনে। এতে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, চলচ্চিত্র ও নাটক ছাড়াও রাজনীতি, কূটনীতি, বিজ্ঞান, জঙ্গিবাদ, ধর্ষণ, নারীর প্রতি অসহিষ্ণুতা, নাচ, গান, লাঠিখেলা ও শিশুদের পাপেট শো নিয়ে হয়েছে অধিবেশন ও প্রদর্শনী। সমাপনী সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সাহিত্যের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ডিএসসি ‘প্রাইজ ফর সাউথ এশিয়ান লিটারেচার’প্রদান করা হয়। এবার এ পুরস্কার পান শ্রীলংকান লেখক অনুক অরুদপ্রগাসম। ডিএসসি পুরস্কারের সম্মাননা অর্থ ২৫ হাজার ডলার। এবার পুরস্কারের জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন রিতু মেনন, ভ্যালেন্টাইন কুনিংহাম, স্টিভেন বারনেস্টাইন, ইয়াসমিন আলীভাই এবং সিনেথ ওয়াল্টার পারেরা। তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জুরি বোর্ড এ বছরের পুরস্কারের জন্য যে ৫ জন লেখককে মনোনীত করেছিলেন তারা হলেন- অঞ্জলি জোসেফ, অনুক অরুদপ্রগাসম, আরবিন্দ আডিগা, করণ মহাজন ও স্টিফেন অল্টার।

গত ১৬ নভেম্বর দুই শতাধিক দেশি-বিদেশি কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সিরিয়ার আরবি ভাষার বিখ্যাত কবি আদোনিস তিন দিনব্যাপি লিট ফেস্ট-এর উদ্বোধন করেন। এবারের বিদেশি অতিথিদের কবি আদোনিস, নাইজেরিয়ার সাহিত্যিক বেন ওক্রি, অস্কারজয়ী ব্রিটিশ অভিনেত্রী টিল্ডা সুইন্টন, মার্কিন সাহিত্যিক লিওনেল শ্রিভার, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় কথাসাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন, কথাসাহিত্যিক উইলিয়াম ডালরিম্পল, লেখক এস্থার ফ্রয়েডসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বইয়ের মাঝে ডুব : পাঠক ও বইপ্রেমীদের জন্য আরেকটি নতুন আড্ডা ও বই কেনার জায়গা তৈরি হলো ঢাকায়। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘বইয়ের মাঝে ডুব’স্লোগানে লালমাটিয়ায় যাত্রা শুরু করল বইয়ের বিপণিবিতান বেঙ্গল বই। এখানে শুধু বই পড়াই নয়, দেওয়া যাবে জমিয়ে আড্ডা। কিংবা শিল্পের রস আস্বাদনের সুযোগ। আয়োজকদের আশা, প্রকৃত পাঠকের জন্য আনন্দের ঠিকানা হয়ে উঠবে এই বইবিতান।

আয়োজকরা জানান, বেঙ্গল বইতে মিলবে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য সব প্রকাশনীর উল্লেখযোগ্য বই। প্রশস্ত আঙিনায় বসে পড়া যাবে বই বা সাময়িকী। পড়তে পড়তে সেই বই বা ম্যাগাজিনটি পছন্দ হলে বাড়িতে নিয়েও যাওয়া যাবে। বই পড়া ও দেখার পাশাপাশি চা, কফি ও ফ্রেশ জুস পাওয়া যাবে। পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যসম্মত নাশতা। রয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্য স্বপ্নরাজ্য ‘আকাশ কুসুম’। শিশুরা এই কর্নারে বসে বই পড়তে পারবে, আঁকতে পারবে। খেলতেও পারবে।

গত ১৪ নভেম্বর বেঙ্গল বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু ও অধ্যাপক নিয়াজ জামান। অনুষ্ঠানে বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ব্যক্তিক আখ্যান ‘স্টোরিস ফ্রম দ্য এজ : পারসোনাল নেরেটিভস অব দ্য লিবারেশন ওয়ার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

জন্মদিনে এলো শাকুর মজিদের চার খণ্ডের ভ্রমণসমগ্র : স্থপতি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, আলোকচিত্রী। এসব পরিচয় ছাপিয়ে শাকুর মজিদের বড় পরিচয় তিনি ভ্রমণ বিষয়ক একজন লেখক। গত ২২ নভেম্বর তার ৫২তম জন্মবার্ষিকীতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত তার ভ্রমণ বিষয়ক বইগুলো সংকলিত করে প্রকাশনা সংস্থা কথাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে চার খণ্ডের ভ্রমণসমগ্র। গুলশানে ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে রাতে জন্মদিনের আয়োজনে এই ভ্রমণসমগ্রের মোড়ক উন্মোচন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নাজিম উদ্দীন, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাসহ নাট্যাঙ্গন ও প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধাররা।

অনুষ্ঠানে কথাসাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে সমকালীন ভ্রমণ বিষয়ক সাহিত্যিকদের মধ্যে শাকুর মজিদই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই সময়ে শাকুরই সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ সাহিত্য লিখেছেন। তার সাহিত্য বড় চিত্তাকর্ষক। তার গল্পের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য হল, তিনি মানুষের চরিত্র নিয়ে খেলতে বড় ভালোবাসেন। তিনি তথ্যচিত্র, জীবনকাহিনী নির্মাণ করেন, আরো কতকিছু করেন। তার কাজ সত্যি ঈর্ষণীয়।’

অনুষ্ঠানে শাকুর মজিদ বলেন, ‘জন্মদিনের এই আয়োজনে কথাপ্রকাশ যে বইগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে শুধু ভ্রমণকাহিনী নয়, আমি বিভিন্ন দেশের সময় ও মানুষকে তুলে আনতে চেয়েছি। ভ্রমণসমগ্র মূল্যায়নের ভার পাঠকের। আমি লিখতে ভালোবাসি, ভালোবাসি ঘুরে বেড়াতে। যেখানে যাই একটা স্টিল ক্যামেরা, আরেকটা ভিডিও ক্যামেরা সঙ্গে থাকেই। আমার লেখালেখি চলতেই থাকবে। ভ্রমণসমগ্রতে ১৯৯৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারত, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা, ‍তুরস্ক, আমেরিকা, চিলি, ইতালি ও স্কটল্যান্ড সফরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যাবে। এতে ‘আমেরিকা’, ‘কাছের মানুষ, ঘরের মানুষ’, ‘পাবলো নেরুদার দেশে’, ‘মিং রাজের দেশে’, ‘নাশিপড়া লিজিয়াং’, ‘মালয় থেকে সিংহপুরী’, ‘কালাপানির গল্প’, ‘সিংহল সমুদ্র থেকে’, ‘সুলতানের শহর’, ‘ফেরাউনের গ্রাম’সহ বিভিন্ন ভ্রমণ বিষয়ক বই সংকলিত হয়েছে।

আলী রীয়াজের কবিতা নিয়ে আবৃত্তি সন্ধ্যা : গত ২২ নভেম্বর রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো কবি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলী রীয়াজের কবিতা নিয়ে আবৃত্তি সন্ধ্যা। এটি আয়োজন করে স্বরশ্রুতি। এ বিষয়ে আলী রীয়াজ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘স্বরশ্রুতির বন্ধুদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমার লেখা কবিতার আবৃত্তির একটি অনিন্দ্যসুন্দর সন্ধ্যার আয়োজন করার জন্যে। তাদের ভালোবাসায় আমি অভিভুত। আবৃত্তি শিল্পীদের উপস্থাপনার সৌকর্য্যে, কণ্ঠের কারুকাজে, আন্তরিক উচ্চারণে কবিতাগুলো পেলো নতুন মাত্রা। শব্দগুলো পেলো প্রাণ।  বন্ধুদের উপস্থিতি, তাদের উৎসাহ আমার জন্যে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠলো। ভালোবাসার তো কোনো প্রতিদান হয় না, আমি কেবল বলতে পারি ধন্যবাদ।’

পেন বাংলাদেশ এর আলোচনা সভা : পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি কথাসাহিত্যিক মাসুদ আহমদের সভাপতিত্বে গত ১০ নভেম্বর শাহবাগে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সেমিনার কক্ষে বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এম. এ. কাইয়ুমের মৃত্যুতে তাঁর সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দা আইরিন জামান ছাড়াও কবি প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক মাসুদুজ্জামান, কবি আসলাম সানী, কবি আমিনুল ইসলাম, কবি আলী নিয়ামত, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক আলী আহমদ, সাহিত্যিক ড. এসএম মোর্শেদ, লোকগবেষক শাহিদা খাতুন, সাহিত্যিক এসএম সিদ্দিকী, কবি নাহার ফরিদ খান, সাহিত্যিক মুর্শিদ আনোয়ার, সাহিত্যিক ড. মাহমুদুল আলম, সাহিত্যিক সাহেদ মন্তাজ, সাহিত্যিক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কবি জুনান নাশিত, কবি নাইম আহমদ, কবি সোহাগ সিদ্দিকী, কবি সুমী  সিকান্দার, কবি মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, কবি সরকার মাহবুব, কবি শামসুদ্দীন হীরা, কবি মেঘ অদিতি, কবি ফারহানা রহমান উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৭/সাইফ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়